দেশ বিদেশ
বৃটেনে ‘শরীয়া’ এয়ারলাইন চালু করছেন বাংলাদেশি শফিক
মানবজমিন ডেস্ক
১৫ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
বৃটেনে প্রথমবারের মতো ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী এয়ারলাইনের ব্যবসা চালু হচ্ছে। শরীয়া আইনে নিষিদ্ধ হওয়ায় এই এয়ারলাইনে কোনো অ্যালকোহল পরিবেশন করা হবে না। পাশাপাশি বিমানবালারাও শালীন পোশাক পরিধান করবেন। আর শরীয়া আইন অনুযায়ী এয়ালাইন ব্যবসা চালু করার মূল উদ্যোক্তা একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল।
খবরে বলা হয়, শরীয়া আইন মেনে এয়ালাইনের ব্যবসা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন শফিকুর রহমান নামক এক ব্যক্তি। ১৯৯৭ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। প্রাথমিকভাবে সেখানে পারফিউমের ব্যবসা শুরু করেন। মাত্র ৬০০ পাউন্ড পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে বৃটেনে তার পারফিউমের ৫টি দোকান রয়েছে। তবে অ্যাভিয়েশন ব্যবসায় তার ঝোঁক রয়েছে। ছোট বেলা থেকেই তিনি বিমান নিয়ে ব্যবসা করার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি বলেন, যখন আমি বিমান দেখি, আনন্দিত হই। জীবনে প্রথমবারের মতো যখন আমি বিমান দেখি, তখন আমার আবেগ বুঝতে পারি। সম্ভব হলে একদিন অ্যাভিয়েশন ব্যবসা করার পরিকল্পনা করি। বৃটেনে আসার পর সবকিছু বদলে যেতে শুরু করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এয়ালাইনের ব্যবসা শুরু করেন। মুসলিম বিজ্ঞানী আব্বাস ইবনে ফিরনাসের নাম অনুযায়ী নিজের কোম্পানির নাম দেন ফিরনাস এয়ারলাইন।
ইতিমধ্যেই তিনি ‘হালাল রিচার্ড ব্র্যানসন’ তকমা পেয়েছেন। ৩২ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী মনে করেন, ইসলামী শরীয়া মেনে ব্যবসা পরিচালনার পরিকল্পনা সফল হলে তার প্রতিষ্ঠান ফিরনাস এয়ারওয়েজ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে জনপ্রিয়তা পাবে। তবে প্রাথমিকভাবে দেশের অভ্যন্তরেই ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা হবে। তিনি বলেন, আমি বৃটিশ নাগরিক। কিন্তু সিকিউরিটি চেক করার সময় এমন আচরণ করা হয়, যেন আমি কোনো অপরাধ করেছি। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমরা যদি একটি ধর্মীয় নীতিকে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করতে পারি, তাহলে এটা পরিস্থিতির পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখবে। এর আগে মালেশিয়ায় বিশ্বের প্রথম শরীয়াভিত্তিক এয়ারলাইন চালু হয়। ‘রায়ানি এয়ারলাইন’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানে ইসলামী বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা হতো। অ্যালকোহল পরিবেশন করা হতো না। এ ছাড়া, বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় যাত্রীদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শোনানো হতো। কিন্তু অ্যাভিয়েশন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযোগ তোলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করতে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। প্রায়ই তারা উড্ডয়নের সময় পরিবর্তন করতো। এমনকি শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট বাতিল করার ঘটনাও ঘটেছে। পরে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজে মুসলিম দেশ আরব আমিরাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও এতে অ্যালকোহল পরিবেশন করা হয়।
খবরে বলা হয়, শরীয়া আইন মেনে এয়ালাইনের ব্যবসা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন শফিকুর রহমান নামক এক ব্যক্তি। ১৯৯৭ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। প্রাথমিকভাবে সেখানে পারফিউমের ব্যবসা শুরু করেন। মাত্র ৬০০ পাউন্ড পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে বৃটেনে তার পারফিউমের ৫টি দোকান রয়েছে। তবে অ্যাভিয়েশন ব্যবসায় তার ঝোঁক রয়েছে। ছোট বেলা থেকেই তিনি বিমান নিয়ে ব্যবসা করার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি বলেন, যখন আমি বিমান দেখি, আনন্দিত হই। জীবনে প্রথমবারের মতো যখন আমি বিমান দেখি, তখন আমার আবেগ বুঝতে পারি। সম্ভব হলে একদিন অ্যাভিয়েশন ব্যবসা করার পরিকল্পনা করি। বৃটেনে আসার পর সবকিছু বদলে যেতে শুরু করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এয়ালাইনের ব্যবসা শুরু করেন। মুসলিম বিজ্ঞানী আব্বাস ইবনে ফিরনাসের নাম অনুযায়ী নিজের কোম্পানির নাম দেন ফিরনাস এয়ারলাইন।
ইতিমধ্যেই তিনি ‘হালাল রিচার্ড ব্র্যানসন’ তকমা পেয়েছেন। ৩২ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী মনে করেন, ইসলামী শরীয়া মেনে ব্যবসা পরিচালনার পরিকল্পনা সফল হলে তার প্রতিষ্ঠান ফিরনাস এয়ারওয়েজ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে জনপ্রিয়তা পাবে। তবে প্রাথমিকভাবে দেশের অভ্যন্তরেই ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা হবে। তিনি বলেন, আমি বৃটিশ নাগরিক। কিন্তু সিকিউরিটি চেক করার সময় এমন আচরণ করা হয়, যেন আমি কোনো অপরাধ করেছি। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমরা যদি একটি ধর্মীয় নীতিকে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করতে পারি, তাহলে এটা পরিস্থিতির পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখবে। এর আগে মালেশিয়ায় বিশ্বের প্রথম শরীয়াভিত্তিক এয়ারলাইন চালু হয়। ‘রায়ানি এয়ারলাইন’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানে ইসলামী বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা হতো। অ্যালকোহল পরিবেশন করা হতো না। এ ছাড়া, বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় যাত্রীদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শোনানো হতো। কিন্তু অ্যাভিয়েশন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযোগ তোলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করতে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। প্রায়ই তারা উড্ডয়নের সময় পরিবর্তন করতো। এমনকি শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট বাতিল করার ঘটনাও ঘটেছে। পরে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজে মুসলিম দেশ আরব আমিরাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও এতে অ্যালকোহল পরিবেশন করা হয়।