বিশ্বজমিন
ট্রাম্প-কিমের সিঙ্গাপুর সামিটে দৃষ্টি সবার
মানবজমিন ডেস্ক
১১ জুন ২০১৮, সোমবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
শান্তির মিশন নিয়ে সিঙ্গাপুরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার মুখোমুখি আলোচনা হওয়ার কথা। একে বলা হচ্ছে শান্তির জন্য ‘ওয়ান-টাইম শট’ বা শান্তি প্রতিষ্ঠায় মাত্র একটি সংলাপ। একে ট্রাম্প নিজে ‘মিশন অব পিস’ বা শান্তির মিশন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজের দলবল ও নিরাপত্তারক্ষীসহ কিম জং উন সিঙ্গাপুর পৌঁছাছেন গতকাল। দেশের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই তার তৃতীয়বার বিদেশ সফর। এর দু-এক মাস আগে তিনি দুবার চীন সফরে গিয়েছিলেন। রোববার দিনশেষে সিঙ্গাপুর পৌঁছার কথা ট্রাম্পের। ট্রাম্প ও কিম দুজনেই চূড়ান্ত আলোচনায় বসার আগে প্রস্তুতি নিতে কিছু সময় পাচ্ছেন। তারা এই সময়টা কাটাবেন সেন্তোসা দ্বীপের অবকাশযাপন কেন্দ্রে। মঙ্গলবার তারা দ্বীপটির ক্যালো হোটেলে মুখোমুখি বসার আগে আলাদাভাবে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হসিয়েন লংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। মঙ্গলবার ট্রাম্প ও কিম এক টেবিলে আলোচনায় বসলে তা হবে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টের জন্য প্রথম এমন ঘটনা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ওয়াশিংটন আশা করছে এই আলোচনা এমন একটি পথ খুলে দেবে, যাতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম তার পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবেন, যদিও তাদের মধ্যে গত প্রায় দেড় বছর ধরে সম্পর্কের ব্যতিক্রমধর্মী উত্থানপতন ঘটেছে।
ট্রাম্পের ক্ষমতার প্রথম বছর উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের মধ্যদিয়ে কেটেছে। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। আন্তর্জাতিক সতর্কতা উপেক্ষা করে এমন পরীক্ষা চালালে সৃষ্টি হয় যুদ্ধংদেহি মনোভাব। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অবরোধ আরো কড়াকড়ি করার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাতে তিনি সফলও হন। এ ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার মিত্র চীনকেও পাশে পান তিনি। একপর্যায়ে পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকি অব্যাহত রাখলে ‘আগুনে’ জবাব দেয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প। তার এই হুমকি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পায়। জবাবে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম তাকে মানসিক বিকারগ্রস্ত ও ভিমরতি সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। হোয়াইট হাউস থেকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও তারা পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে পিছপা হয়নি। শুধু তা-ই নয়। কিছুই তোয়াক্কা না করে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। এর অল্প পরেই কিম জং উন ঘোষণা দেন তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার মিশনে সফলতা লাভ করেছে এবং তাদের ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আঘাত করতে সক্ষম। কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয় ওই অঞ্চলে। তবে যুদ্ধ লাগতে লাগতে তা থেমে যায়। শুরু হয় এক বিস্ময়কর কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে এমন সম্পর্কে মোড় ঘুরতে থাকে। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দেখা দেয় শীতকালীন অলিম্পিক নিয়ে উল্লেখযোগ্য এক কূটনৈতিক পটপরিবর্তন। মার্চে বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করে দেন ট্রাম্প। তিনি জানান দেন, সিউলের মাধ্যমে তিনি কিম জং উনের একটি আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। তাতে কিম তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন। তার পর থেকে এ দু’নেতার সাক্ষাতের বিষয়টি কণ্টকময় ও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কারণ, একপর্যায়ে ট্রাম্প তো এমন সম্ভাবনাকে একেবারে নাকচ করে দেন। কিন্তু কিছুটা কূটনৈতিক তৎপরতায় দু’নেতা আবারও একসঙ্গে বসতে রাজি হন। এখন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত হোক, যাতে সে আর এই প্রযুক্তিতে ফিরতে না পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাত্তিস সম্প্রতি বলেছেন, শুধু এমন পদক্ষেপ নেয়া হলেই জাতিসংঘের অবরোধ শিথিল হতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, সিঙ্গাপুরেই চূড়ান্ত একটি চুক্তি করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটা হতে পারে পরিস্থিতি জানা বা বোঝার মতো অবস্থা এবং এর মধ্যদিয়ে একটি প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিশ্লেষকরা এরই মধ্যে কিম উন জংকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন। বলছেন, তিনি এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর একজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মতো প্রেস্টিজ জয় করেছেন। তবে তিনি কেন তার পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবেন এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে বলছেন, তিনি পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ত্যাগ করবেন না।
ট্রাম্পের ক্ষমতার প্রথম বছর উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের মধ্যদিয়ে কেটেছে। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। আন্তর্জাতিক সতর্কতা উপেক্ষা করে এমন পরীক্ষা চালালে সৃষ্টি হয় যুদ্ধংদেহি মনোভাব। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অবরোধ আরো কড়াকড়ি করার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাতে তিনি সফলও হন। এ ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার মিত্র চীনকেও পাশে পান তিনি। একপর্যায়ে পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকি অব্যাহত রাখলে ‘আগুনে’ জবাব দেয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প। তার এই হুমকি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পায়। জবাবে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম তাকে মানসিক বিকারগ্রস্ত ও ভিমরতি সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। হোয়াইট হাউস থেকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও তারা পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে পিছপা হয়নি। শুধু তা-ই নয়। কিছুই তোয়াক্কা না করে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। এর অল্প পরেই কিম জং উন ঘোষণা দেন তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার মিশনে সফলতা লাভ করেছে এবং তাদের ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আঘাত করতে সক্ষম। কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয় ওই অঞ্চলে। তবে যুদ্ধ লাগতে লাগতে তা থেমে যায়। শুরু হয় এক বিস্ময়কর কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে এমন সম্পর্কে মোড় ঘুরতে থাকে। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দেখা দেয় শীতকালীন অলিম্পিক নিয়ে উল্লেখযোগ্য এক কূটনৈতিক পটপরিবর্তন। মার্চে বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করে দেন ট্রাম্প। তিনি জানান দেন, সিউলের মাধ্যমে তিনি কিম জং উনের একটি আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। তাতে কিম তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন। তার পর থেকে এ দু’নেতার সাক্ষাতের বিষয়টি কণ্টকময় ও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কারণ, একপর্যায়ে ট্রাম্প তো এমন সম্ভাবনাকে একেবারে নাকচ করে দেন। কিন্তু কিছুটা কূটনৈতিক তৎপরতায় দু’নেতা আবারও একসঙ্গে বসতে রাজি হন। এখন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত হোক, যাতে সে আর এই প্রযুক্তিতে ফিরতে না পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাত্তিস সম্প্রতি বলেছেন, শুধু এমন পদক্ষেপ নেয়া হলেই জাতিসংঘের অবরোধ শিথিল হতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, সিঙ্গাপুরেই চূড়ান্ত একটি চুক্তি করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটা হতে পারে পরিস্থিতি জানা বা বোঝার মতো অবস্থা এবং এর মধ্যদিয়ে একটি প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিশ্লেষকরা এরই মধ্যে কিম উন জংকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন। বলছেন, তিনি এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর একজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মতো প্রেস্টিজ জয় করেছেন। তবে তিনি কেন তার পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবেন এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে বলছেন, তিনি পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ত্যাগ করবেন না।