শেষের পাতা
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ মে ২০১৮, সোমবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
গত বছরের ২৩শে নভেম্বর পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে বিইআরসি’র (বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন) সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বিইআরসি’র চেয়ারম্যান, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আদেশে।
গতকাল আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আদালতের আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে গত বছরের ২৫শে সেপ্টেম্বর থেকে ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত বিইআরসি গণশুনানি করে। কিন্তু গণশুনানিতে কে কি বলেছিল তার কোনো রিফ্লেকশন নেই। আইন অনুযায়ী শুনানি করার ৯০ দিনের মধ্যে একটি লিখিত আদেশ দেয়ার কথা। কিন্তু গণশুনানির ভিত্তিতে কোনো আদেশ বা সিদ্ধান্ত না নিয়ে ২৩শে নভেম্বর এক সিদ্ধান্তে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়। তিনি বলেন, বিইআরসির ওই সিদ্ধান্ত আইন অনুযায়ী না হওয়ায় তা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। গত বছরের ২৩শে নভেম্বর বিইআরসি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করে। দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ৭ই জানুয়ারি ক্যাব এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে। এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৩শে মে ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন।
গতকাল আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আদালতের আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে গত বছরের ২৫শে সেপ্টেম্বর থেকে ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত বিইআরসি গণশুনানি করে। কিন্তু গণশুনানিতে কে কি বলেছিল তার কোনো রিফ্লেকশন নেই। আইন অনুযায়ী শুনানি করার ৯০ দিনের মধ্যে একটি লিখিত আদেশ দেয়ার কথা। কিন্তু গণশুনানির ভিত্তিতে কোনো আদেশ বা সিদ্ধান্ত না নিয়ে ২৩শে নভেম্বর এক সিদ্ধান্তে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়। তিনি বলেন, বিইআরসির ওই সিদ্ধান্ত আইন অনুযায়ী না হওয়ায় তা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। গত বছরের ২৩শে নভেম্বর বিইআরসি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করে। দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ৭ই জানুয়ারি ক্যাব এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে। এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৩শে মে ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন।