দেশ বিদেশ

প্রধানমন্ত্রী কেন বার বার ভারত যাচ্ছেন: মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার

২৭ মে ২০১৮, রবিবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন বার বার ভারতে যাচ্ছেন তা নিয়ে দেশের জনগণের মধ্যে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের আয়োজনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বার বার ভারত সফর করলেও তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ উদ্ধার হচ্ছে না। আমরা প্রত্যেকবারই প্রত্যাশা করেছি যে, এদেশের মানুষের মরা-বাঁচার সম্পর্ক হচ্ছে পানি। সেই তিস্তা নদীর পানি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এতো বার প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেলেন কিন্তু তিস্তা চুক্তির বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে পর্যন্ত আনতে পারেননি। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়, তাই তারা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আদালত থেকে যতোই জামিন নেয়া হোক না কেন সরকার না চাইলে তার মুক্তি হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন আদালতের হাতে নয়, বরং সরকারের হাতেই নির্ভর করছে। সুতরাং আমরা দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আদালতের মাধ্যমে যে আইনি লড়াই করছি এই পথে তার মুক্তি হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাজপথের কঠোর আন্দোলন ও সংগ্রাম প্রয়োজন। স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হলে জনগণকে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আবারো ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি মার্কা ভোট করতে চায়। তারা বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গায়ের জোরে আরেকটি বাকশালী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। কিন্তু এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর একদলীয় ভোট করতে দেবে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নয়, দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সে জন্য জাতীয় স্বার্থে গণআন্দোলন গড়ে তুলে বর্তমান অবৈধ ও গণবিচ্ছিন্ন সরকারের পতনকে ত্বরান্বিত করতে হবে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, মাদক নির্মূলের নামে সারা দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। কিন্তু মূল হোতাদের কিছুই বলা হচ্ছে না। মূলত মাদকের গডফাদারদের আড়াল করতেই সাধারণ মানুষের ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা মাদক ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। অথচ বড় বড় মাদক সম্রাটদের না ধরে খুচরা বিক্রেতাদের ধরে বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। দেশে তো আইন আছে, তাহলে মাদকবিরোধী অভিযানে আটকদের কেন আইনের আওতায় না এনে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হচ্ছে। যাদের মারা হচ্ছে, তারা কেউ মূল হোতা না। আসল গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটে কারচুপি করতেই আচরণবিধি সংশোধন করা হয়েছে। সংসদ সদস্যরা যাতে জনসংযোগ করতে পারে সেজন্য নতুন আইন তৈরি করেছে। আসলে এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গায়ের জোরে আরেকটি বাকশালী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই কাজে ইসি তাদের সহযোগী হচ্ছে। আ?য়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্ত?ব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status