খেলা
রশিদ নয়, নিজেদের নিয়ে ভাবতে চান তামিম
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৭ মে ২০১৮, রবিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান যেন টাইগারদের পিছুই ছাড়ছে না। দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে তার নামই এখন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মুখে মুখে। বিশেষ করে রশিদ নৈপুণ্যে তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে। তাই বারবারই এ লেগির নামটি আতঙ্ক হয়ে আসছে সাকিব আল হাসানের দলের সামনে। দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল রশিদকে খাটো করে দেখছেন না। কিন্তু তাকে নিয়ে অতি ভাবনায় নিজেদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে রাজি নন তিনি। তার মতে ভাবতে হবে নিজেদের নিয়ে সবার আগে। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমকে তামিম আফগান সিরিজ, বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলতে যাওয়া ও নিজেদের বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরেন। সেই কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: চোট কাটিয়ে কতটা প্রস্তুত?
তামিম: অবশ্যই খুব রোমাঞ্চিত। কারণ প্রায় ২ মাস আমি পুনর্বাসনে ছিলাম। আজকেই একটি প্রস্তুতি ম্যাচের মতো খেলবো। যে ইনজুরিটি ছিল, আশা করি ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আমাদের হাতে যতটুকু ছিল, তার চেয়ে বেশিই করেছি আমরা। ফিজিও বলেন বা ট্রেনার, আমার যতটুকু স্ট্রেংথ দরকার ছিল, তার চেয়ে বেশিই করেছি। ফিটনেসের দিক থেকেও আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছি। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় প্রতিটি বিষয় ঠিক করেছি। এখন দেখা যাক, খেলায় কোনো ঝামেলা না হলেই হয়।
প্রশ্ন: আগের চেয়ে ওজন কমিয়েছেন, এখন কি ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেসে আছেন মনে করেন?
তামিম: সেরা অবস্থাই বলতে পারেন। আগের চেয়ে ফিটনেসে অনেক ভালো অবস্থায় আছি। সব ঠিক। তবে এটিই শেষ নয়। এখান থেকে আরো ভালো হতে পারি। কারণ আমাদের দলেই এমন অনেকে আছে, যাদের পর্যায়ে যেতে হলে আমাকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অনেক কষ্ট করতে হবে। হ্যাঁ, বলতে পারেন যে গত ৬ মাসের কথা বললে, এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছি।
প্রশ্ন: বিশ্ব একাদশে খেলতে যাওয়া নিয়ে কতটা ভালো লাগা কাজ করছে?
তামিম: রোমাঞ্চ অবশ্যই আছে। এরকম একটি খেলায় অংশ নেয়াই অনেক বড় ব্যাপার। তবে আশা থাকবে শুধু অংশগ্রহণই নয়, ভালো খেলবো। ভালো খেললে ভালো লাগবে। তার চেয়ে বড় কথা, একটি ভালো উদ্যোগে শামিল হতে যাচ্ছি। আশা করবো যে কারণে এই আয়োজন, তা যেন সফল হয়। ক্যারিবিয়ানের যে মাঠগুলো হারিকেনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এই ম্যাচের মাধ্যমে আমরা যেন যথেষ্ট তহবিল সংগ্রহ করে তাদের সাহায্য করতে পারি। লর্ডসে যদি ভালো স্মৃতি নাও থাকতো, তবু ভালো লাগতো। কারণ লর্ডসে খুব বেশি খেলা হয় না আমাদের।
প্রশ্ন: রশিদ খানকে নিয়ে সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে কি?
তামিম: অনেক সময় কথা বলে আইডিয়া পাওয়া যায়, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব বুঝে যাবেন। তাই যদি হতো, তাহলে তো সে এত ভালো পারফর্ম করতে পারতো না আইপিএলে। নির্ভর করে নির্দিষ্ট দিনের ওপর। উইকেট কতটা পড়া যাচ্ছে, কোন পরিকল্পনায় খেলছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব পরিকল্পনা, কৌশল নিয়ে প্রস্তুত থাকতে পারি। কিন্তু মাঠে গিয়ে বাস্তবায়ন করতে না পারলে লাভ নেই। ছোট ছোট তথ্য অবশ্যই সাহায্য করে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, সবকিছুই নির্ভর করে ওই দিনের ওপর।
প্রশ্ন: বিপিএলে কুমিল্লার নেটে রশিদকে অনেক খেলেছেন, তার কোন দিকটা আসলে সামলানো কঠিন?
তামিম ইকবাল: ওর কুইক আর্ম অ্যাকশনটাই সবচেয়ে কঠিন ব্যাটসম্যানদের জন্য। আরেকটি ব্যাপার, ৬ মাস আগে হয়তো ওর অ্যাকুরেসি এত ভালো ছিল না। এখন সেখানেও উন্নতি করেছে, খুব অ্যাকুরেট। আর সাফল্যও পাচ্ছে। বিশ্বের সেরা সব ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করছে। খুব ভালো বোলিং করছে। কিন্তু এমন নয় যে ওকে খেলাই যাবে না। আমরা যদি নিজেদের ভালোভাবে মেলে ধরতে পারি, কেন নয়! আর আমি এমন নই যে একজনের প্রতি মনোযোগ দেবো। কারণ ওদের দলে আরো অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে। অনেক ভালো বোলার আছে। শুধু একজনের দিকেই মন দেয়া মানে আগে থেকেই নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে যাওয়া। এই মুহূর্তে সে হয়তো বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার। তবে আমরা এরকম অনেক চ্যালেঞ্জ জিতে অনেক ভালো খেলেছি।
শুধু রশিদ নয়, কোনো কিছু নিয়ে বেশি চিন্তা করলে অনেক সময় পারা জিনিসগুলোও পারা যায় না।
প্রশ্ন: ব্যক্তিগত লক্ষ্য কি?
তামিম: আমার ব্যক্তিগত চাওয়া নির্ভর করে, দলে আমাকে কোনো ভূমিকা দেয়া হয় তার ওপর। আমাকে যদি অ্যাংকরের ভূমিকা দেয়া হয়, আমাকে সেটাই করতে হবে। এমনিতে প্রথম ৬ ওভারে শট খেলতেই হবে। সুযোগ নিতেই হবে। ৬ ওভারের মধ্যে আউট হয়ে গেলে তো হয়েই গেলাম। ওপেনারদের এই ঝুঁকি নিতেই হয়। কিন্তু যদি সেটা পার করে দিতে পারি, তাহলে আমার লক্ষ্য থাকবে লম্বা ইনিংস খেলা। ছয়ের পর থেকে ১৫ ওভারের সময়টুকুই টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে যদি আমরা বেশি উইকেট না হারাই এবং একজন যদি লম্বা ইনিংস খেলতে পারে, সেটিই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।
প্রশ্ন: চোট কাটিয়ে কতটা প্রস্তুত?
তামিম: অবশ্যই খুব রোমাঞ্চিত। কারণ প্রায় ২ মাস আমি পুনর্বাসনে ছিলাম। আজকেই একটি প্রস্তুতি ম্যাচের মতো খেলবো। যে ইনজুরিটি ছিল, আশা করি ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আমাদের হাতে যতটুকু ছিল, তার চেয়ে বেশিই করেছি আমরা। ফিজিও বলেন বা ট্রেনার, আমার যতটুকু স্ট্রেংথ দরকার ছিল, তার চেয়ে বেশিই করেছি। ফিটনেসের দিক থেকেও আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছি। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় প্রতিটি বিষয় ঠিক করেছি। এখন দেখা যাক, খেলায় কোনো ঝামেলা না হলেই হয়।
প্রশ্ন: আগের চেয়ে ওজন কমিয়েছেন, এখন কি ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেসে আছেন মনে করেন?
তামিম: সেরা অবস্থাই বলতে পারেন। আগের চেয়ে ফিটনেসে অনেক ভালো অবস্থায় আছি। সব ঠিক। তবে এটিই শেষ নয়। এখান থেকে আরো ভালো হতে পারি। কারণ আমাদের দলেই এমন অনেকে আছে, যাদের পর্যায়ে যেতে হলে আমাকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অনেক কষ্ট করতে হবে। হ্যাঁ, বলতে পারেন যে গত ৬ মাসের কথা বললে, এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছি।
প্রশ্ন: বিশ্ব একাদশে খেলতে যাওয়া নিয়ে কতটা ভালো লাগা কাজ করছে?
তামিম: রোমাঞ্চ অবশ্যই আছে। এরকম একটি খেলায় অংশ নেয়াই অনেক বড় ব্যাপার। তবে আশা থাকবে শুধু অংশগ্রহণই নয়, ভালো খেলবো। ভালো খেললে ভালো লাগবে। তার চেয়ে বড় কথা, একটি ভালো উদ্যোগে শামিল হতে যাচ্ছি। আশা করবো যে কারণে এই আয়োজন, তা যেন সফল হয়। ক্যারিবিয়ানের যে মাঠগুলো হারিকেনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এই ম্যাচের মাধ্যমে আমরা যেন যথেষ্ট তহবিল সংগ্রহ করে তাদের সাহায্য করতে পারি। লর্ডসে যদি ভালো স্মৃতি নাও থাকতো, তবু ভালো লাগতো। কারণ লর্ডসে খুব বেশি খেলা হয় না আমাদের।
প্রশ্ন: রশিদ খানকে নিয়ে সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে কি?
তামিম: অনেক সময় কথা বলে আইডিয়া পাওয়া যায়, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব বুঝে যাবেন। তাই যদি হতো, তাহলে তো সে এত ভালো পারফর্ম করতে পারতো না আইপিএলে। নির্ভর করে নির্দিষ্ট দিনের ওপর। উইকেট কতটা পড়া যাচ্ছে, কোন পরিকল্পনায় খেলছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব পরিকল্পনা, কৌশল নিয়ে প্রস্তুত থাকতে পারি। কিন্তু মাঠে গিয়ে বাস্তবায়ন করতে না পারলে লাভ নেই। ছোট ছোট তথ্য অবশ্যই সাহায্য করে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, সবকিছুই নির্ভর করে ওই দিনের ওপর।
প্রশ্ন: বিপিএলে কুমিল্লার নেটে রশিদকে অনেক খেলেছেন, তার কোন দিকটা আসলে সামলানো কঠিন?
তামিম ইকবাল: ওর কুইক আর্ম অ্যাকশনটাই সবচেয়ে কঠিন ব্যাটসম্যানদের জন্য। আরেকটি ব্যাপার, ৬ মাস আগে হয়তো ওর অ্যাকুরেসি এত ভালো ছিল না। এখন সেখানেও উন্নতি করেছে, খুব অ্যাকুরেট। আর সাফল্যও পাচ্ছে। বিশ্বের সেরা সব ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করছে। খুব ভালো বোলিং করছে। কিন্তু এমন নয় যে ওকে খেলাই যাবে না। আমরা যদি নিজেদের ভালোভাবে মেলে ধরতে পারি, কেন নয়! আর আমি এমন নই যে একজনের প্রতি মনোযোগ দেবো। কারণ ওদের দলে আরো অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে। অনেক ভালো বোলার আছে। শুধু একজনের দিকেই মন দেয়া মানে আগে থেকেই নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে যাওয়া। এই মুহূর্তে সে হয়তো বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার। তবে আমরা এরকম অনেক চ্যালেঞ্জ জিতে অনেক ভালো খেলেছি।
শুধু রশিদ নয়, কোনো কিছু নিয়ে বেশি চিন্তা করলে অনেক সময় পারা জিনিসগুলোও পারা যায় না।
প্রশ্ন: ব্যক্তিগত লক্ষ্য কি?
তামিম: আমার ব্যক্তিগত চাওয়া নির্ভর করে, দলে আমাকে কোনো ভূমিকা দেয়া হয় তার ওপর। আমাকে যদি অ্যাংকরের ভূমিকা দেয়া হয়, আমাকে সেটাই করতে হবে। এমনিতে প্রথম ৬ ওভারে শট খেলতেই হবে। সুযোগ নিতেই হবে। ৬ ওভারের মধ্যে আউট হয়ে গেলে তো হয়েই গেলাম। ওপেনারদের এই ঝুঁকি নিতেই হয়। কিন্তু যদি সেটা পার করে দিতে পারি, তাহলে আমার লক্ষ্য থাকবে লম্বা ইনিংস খেলা। ছয়ের পর থেকে ১৫ ওভারের সময়টুকুই টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে যদি আমরা বেশি উইকেট না হারাই এবং একজন যদি লম্বা ইনিংস খেলতে পারে, সেটিই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।