এক্সক্লুসিভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৈশপ্রহরীর মৃত্যু
মেয়র ভাইপোর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ, মামলা রেকর্ডে গড়িমসি
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৭ মে ২০১৮, রবিবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাংকের নৈশপ্রহরী রাসেল মিয়ার (১৯) মৃত্যুর ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গত ৩ দিনেও এটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি সদর মডেল থানা পুলিশ। অভিযোগে পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নায়ার কবিরের আপন ভাইপো আসিফ ইকবাল খানসহ
৪ জনকে হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহত রাসেলের মা আমেনা বেগম সদর মডেল থানায় তার ছেলে হত্যার এই অভিযোগটি দেন। অভিযুক্ত অন্য ৩ জন হচ্ছে আসিফের ব্যবসায়িক অংশীদার সুমন, দোকান কর্মচারী রাজেশ ও সিটি সেন্টার মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ। মামলাটি যাতে নথিভুক্ত না হয় এবং ঘটনার মীমাংসায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েক নেতা ঘটনার পর থেকে তৎপর।
রাসেলের মায়ের দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে জেলা শহরের সিটি সেন্টারস্থ স্বপ্নলোকে ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী আসিফ ইকবাল খান তার দোকানে চুরির অভিযোগে ২১শে মে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথের নৈশপ্রহরী রাসেলকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে অন্য আসামিদের নিয়ে তাকে বেধড়ক পেটায়। পরে চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেলকে সদর থানায় নিয়ে যায়। থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাসেলকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন তাদের। এরপর আসিফ ও সুমন রাসেলকে থানার ছাদে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। পরে রাসেলকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার ভোর তিনটা ২০ মিনিটে মারা যান রাসেল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন জানান তারা অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। গত ২১শে মে ভোরে শহরের সিটি সেন্টারস্থ স্বপ্নলোকে ফ্যাশন হাউজে চুরি হয়। এতে নগদ টাকাসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল খোয়া যায় বলে দাবি করেন স্বপ্নলোক কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ওইদিনই স্বপ্নলোকের কয়েকজন কর্মচারী ও সিটি সেন্টারের নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। রাসেলকেও আটকের পর নির্যাতনের অভিযোগ করে পরিবারের লোকজন।
৪ জনকে হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহত রাসেলের মা আমেনা বেগম সদর মডেল থানায় তার ছেলে হত্যার এই অভিযোগটি দেন। অভিযুক্ত অন্য ৩ জন হচ্ছে আসিফের ব্যবসায়িক অংশীদার সুমন, দোকান কর্মচারী রাজেশ ও সিটি সেন্টার মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ। মামলাটি যাতে নথিভুক্ত না হয় এবং ঘটনার মীমাংসায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েক নেতা ঘটনার পর থেকে তৎপর।
রাসেলের মায়ের দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে জেলা শহরের সিটি সেন্টারস্থ স্বপ্নলোকে ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী আসিফ ইকবাল খান তার দোকানে চুরির অভিযোগে ২১শে মে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথের নৈশপ্রহরী রাসেলকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে অন্য আসামিদের নিয়ে তাকে বেধড়ক পেটায়। পরে চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেলকে সদর থানায় নিয়ে যায়। থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাসেলকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন তাদের। এরপর আসিফ ও সুমন রাসেলকে থানার ছাদে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। পরে রাসেলকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার ভোর তিনটা ২০ মিনিটে মারা যান রাসেল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন জানান তারা অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। গত ২১শে মে ভোরে শহরের সিটি সেন্টারস্থ স্বপ্নলোকে ফ্যাশন হাউজে চুরি হয়। এতে নগদ টাকাসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল খোয়া যায় বলে দাবি করেন স্বপ্নলোক কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ওইদিনই স্বপ্নলোকের কয়েকজন কর্মচারী ও সিটি সেন্টারের নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। রাসেলকেও আটকের পর নির্যাতনের অভিযোগ করে পরিবারের লোকজন।