অনলাইন
খুলনার মতো গাজীপুরে নির্বাচন করতে পারবে না: মোশাররফ
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ মে ২০১৮, শুক্রবার, ২:২২ পূর্বাহ্ন
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো গাজীপুরে সরকার একই রকম নির্বাচন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এর আয়োজনে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৩৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে এই সরকারের নীল নকশা আপনারা খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে দেখেছেন। খুলনায় তারা দলীয় ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করেছে। এখন গাজীপুরের নির্বাচন নিয়েও তারা একই নীল নকশা করছে। এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করানোর জন্য সংসদে নির্বাচনী আইন সংশোধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ধরণের আইন তৈরী করা হয়েছে যেন বিএনপি গাজীপুর নির্বাচন থেকে সরে আসে। কিন্তু আমাদের সরানো যাবে না। শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকব। খুলনায় যা করেছে হাজীপুরে আওয়ামী লীগ তা করতে পারবে না। কারণ গাজীপুর আর খুলনার মানুষ এক নয়। খুলনার অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে সরকারের কুটকৌশল প্রতিহত করার জন্য আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে মাঠে থাকব। তিনি বলেন, এই সরকারের পতনই হবে আমাদের আগামী আন্দোলনের প্রধান ইস্যু। আদালত দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। মুক্তি হবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে। সময়ই বলে দেবে সেই আন্দোলন কি ধরনের হবে। নরম আন্দোলন হবে না গরম আন্দোলন হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে এখন মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ সবাই জানে এদেশে মাদকের মূল হোতা কারা। আন্তর্জাতিকভাবে কারা মাদক ব্যবসা করে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীর ছত্রছায়া ছাড়া কোন মানুষ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। কোন এমপি, কোন মন্ত্রী মাদক ব্যবসা করে জনগণ সব জানে। একই সঙ্গে প্রশাসনের সজযোগিতা ছাড়া কেউ মাদক ব্যবসা করতে পারে না সেটাও জানে। অথচ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না সরকার। তারা গ্রেপ্তার করে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করছে সাধারণ মাদক বহনকরী লোকটিকে। কারণ তাদের জিজ্ঞেস করলে নেতাদের নাম বলবে। এর বাইরে তাদের হত্যা করার আরেকটি কারণ হল নির্বাচনের বছরে মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানো। যেন মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস না পায়। মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন। বার বার যান, কয়েকবার ভিজিট করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মরা বাচার সমস্যা হল তিস্তার পানি। সেই পানি নিয়ে কোন আলোচনা বিষয়বস্তুতেই আনতে পারেন না। কোনদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পানি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। এই জন্য মানুষের আশঙ্কা হচ্ছে ভারত গিয়ে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মতো কোন ষড়যন্ত্র করছেন কিনা। এবার যদি তিনি তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে ভালো কোন খবর আনতে পারেন তাহলে মনে করবে আপনার সফর যৌক্তিক। না হলে মানুষের আশঙ্কাই বাস্তবায়িত হবে। তবে জাতীয়তাবাদী শক্তি এই ষড়যন্ত্রকে ভয় পায় না। এদেশের জনগণ আগামী দিনে আপনাদের সকল ষড়য়ন্ত্র রুখে দাড়াবে। বিএনপি তাদের পাশে থাকবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ড্যাব সহ সভাপতি ডা. এম এ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান দুই আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক ও প্রফেসর ডা. আবদুল মান্নান মিয়া। এছাড়াও সমাবেশে ড্যাব মহাসচিব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, প্রফেসর ডা. আমিনুল হক, ড্যাব সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা. খায়রুল ইসলাম, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।
তিনি বলেন, সারাদেশে এখন মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ সবাই জানে এদেশে মাদকের মূল হোতা কারা। আন্তর্জাতিকভাবে কারা মাদক ব্যবসা করে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীর ছত্রছায়া ছাড়া কোন মানুষ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। কোন এমপি, কোন মন্ত্রী মাদক ব্যবসা করে জনগণ সব জানে। একই সঙ্গে প্রশাসনের সজযোগিতা ছাড়া কেউ মাদক ব্যবসা করতে পারে না সেটাও জানে। অথচ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না সরকার। তারা গ্রেপ্তার করে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করছে সাধারণ মাদক বহনকরী লোকটিকে। কারণ তাদের জিজ্ঞেস করলে নেতাদের নাম বলবে। এর বাইরে তাদের হত্যা করার আরেকটি কারণ হল নির্বাচনের বছরে মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানো। যেন মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস না পায়। মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন। বার বার যান, কয়েকবার ভিজিট করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মরা বাচার সমস্যা হল তিস্তার পানি। সেই পানি নিয়ে কোন আলোচনা বিষয়বস্তুতেই আনতে পারেন না। কোনদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পানি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। এই জন্য মানুষের আশঙ্কা হচ্ছে ভারত গিয়ে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মতো কোন ষড়যন্ত্র করছেন কিনা। এবার যদি তিনি তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে ভালো কোন খবর আনতে পারেন তাহলে মনে করবে আপনার সফর যৌক্তিক। না হলে মানুষের আশঙ্কাই বাস্তবায়িত হবে। তবে জাতীয়তাবাদী শক্তি এই ষড়যন্ত্রকে ভয় পায় না। এদেশের জনগণ আগামী দিনে আপনাদের সকল ষড়য়ন্ত্র রুখে দাড়াবে। বিএনপি তাদের পাশে থাকবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ড্যাব সহ সভাপতি ডা. এম এ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান দুই আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক ও প্রফেসর ডা. আবদুল মান্নান মিয়া। এছাড়াও সমাবেশে ড্যাব মহাসচিব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, প্রফেসর ডা. আমিনুল হক, ড্যাব সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা. খায়রুল ইসলাম, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]