অনলাইন
সীমান্তে ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ ঠেকাবে উলফা: অনুপ চেটিয়া
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ মে ২০১৮, শুক্রবার, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
মি. চেটিয়া এদিন সাংবাদিকদের কাছে উলফার সঙ্গে ভারত সরকারের চলমান সংলাপের সর্বশেষ অবস্থাও তুলে ধরেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ২০১০ সালে উলফার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের যে শান্তি আলোচনা চলছে, তার আওতায় আরো কয়েকটি বিষয়ের সুরাহা ঘটলেই আনুষ্ঠানিকভাবে উলফা বিলোপ করা হবে। এর মধ্যে আসামের সার্বভৌমত্বের দাবি আদায়ে ১৯৭৯ সালে উলফা গঠনের পর থেকে যাদেও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা তুলে নিতে হবে। এছাড়া ছয়টি জাতিগত সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি হিসেবে ঘোষণা এবং আসামের আদিবাসীদের ভূমিকার অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে।
উলফা ২০১১ সালে জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ তৈরি করতে সংবিধান সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে। ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাসের উদ্যোগ নেওয়া হলে উলফার দাবি আরো জোরদার হয়।
দি হিন্দু বলেছে, ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে শান্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার এখন কথিতমতে তার আগেই চুক্তি চান। কারণ সরকার উলফার পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন উলফা(স্বাধীন)কে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছেন। গতকাল গৌহাটি ডেটলাইনে দি হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম উলফা সাংবাদিকদের বলেছে, আসামে বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফএর ব্যর্থতা পূরণ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশী বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে উলফা এখন ভূমিকা রাখবে। সীমান্তে তারা সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স হিসেবে কাজ করবে। উলফার সাবেক ক্যাডারদের নিয়ে একটি অস্ত্রবিহীন ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উলফার সঙ্গে লিয়াজোকারী এ.বি. মাথুরের মাধ্যমে গৌহাটিতে উলফা নেতাদের মধ্যে উল্লিখিত বৈঠক হয়েছে।
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]