দেশ বিদেশ
একাদশে ভর্তি
আবেদন করেনি আড়াই লাখ শিক্ষার্থী
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ মে ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেও চলতি বছর একাদশ শ্রেণির ভর্তির জন্য আবেদন করেনি প্রায় আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী। গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তবে রাত ১২টা পর্যন্ত আরও কিছু শিক্ষার্থী আবেদন করবে বলে জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। প্রথম দফায় আবেদনের সময় আর বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আন্তঃবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক। তিনি মানবজমিনকে বলেন, যারা আবেদন করেনি তারা আরও দুইবার আবেদন করার সুযোগ পাবে। প্রায় আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী আবেদনের বাইরে থাকার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর কিছু শিক্ষার্থী নানা কারণে ঝরে যায়। এবারও একই কারণে ঝরে যাবে। তবে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হতে হতে এ সংখ্যা আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি। চলতি বছর এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পাস করেছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ জন। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৬৬৬ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে এখনও ২ লাখ ৭১ হাজার শিক্ষার্থী এখনও আবেদন করেনি। এরমধ্যে কারিগরিতে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে বলে জানান ঢাকা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মনজুরুল কবির। তিনি বলেন, ভর্তি কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি তা বলা যাবে না। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলা যায়, প্রায় লাখের ওপর শিক্ষার্থী প্রতি বছর একাদশ শ্রেণির ভর্তির বাইরে থাকে। এবারও তাই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি বছর নীতিমালা অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী অনলাইন ও এসএমএস-এ সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদনের সুযোগ পেয়েছে। এখন এই আবেদন থেকে শিক্ষার্থীর পছন্দক্রম ও যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তির জন্য একটি কলেজ ঠিক করে দেবে শিক্ষা বোর্ড। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ই জুন। তার আগে ২৫ থেকে ২৭শে মে আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। শুধু পুনঃনিরীক্ষণের ফল পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা ৫ এবং ৬ই জুন। প্রথম পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কলেজ নিশ্চিত করবে ১১ থেকে ১৮ই জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন চলবে ১৯ ও ২০শে জুন। ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ২১শে জুন। ২য় পর্যায়ে কলেজ নিশ্চয়ন করতে পারবে ২২ ও ২৩শে জুন। ৩য় পর্যায়ে আবেদন নেয়া হবে ২৪শে জুন। ২য় মাইগ্রেশন ফল প্রকাশ করা হবে ২৫শে জুন। একই দিনে ৩য় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে এবং তারা কলেজ নিশ্চয়ন করতে হবে ২৬শে জুনের মধ্যে। ভর্তি চলবে ২৭শে জুন থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত। আর ১লা জুলাই একাদশের শ্রেণির নতুন ব্যাচের ক্লাস শুরু হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম দফায় ১০টি কলেজেও যদি কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ না পায়, তাহলে আরও দুই দফায় সে আবেদনের সুযোগ পাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারও ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বিরাট সংখ্যক শিক্ষার্থীর আবেদন না করা প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ বলেন, প্রতিবছর কিছু শিক্ষার্থী ঝরে যায় এটা সত্য। এরমধ্যে অনেকেই কারিগরি ও বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্সেও ভর্তি হয়। তবে যারা প্রথম দফায় আবেদন করতে পারেনি, তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় আবেদন করতে পারবে। গত বছরও লাখখানেক এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থী আবেদন করেনি। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, মাধ্যমিকে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ঝরে যায়। এই স্তরে ৩৮ দশমিক ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি‘র দ্বার পার হতে পারে না। উচ্চমাধ্যমিকে এই ঝরে পড়ার হার অনেকটা কম, ওই স্তরে এ হার ২০ দশমিক ০৮। প্রাথমিকে এই হার সবচেয়ে কম, ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। তবে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, এ স্তরের ঝড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝরে পড়ে মেয়েরা। এর কারণ বিয়ে হয়ে যাওয়া এবং কলেজ দূরে কিংবা নিরাপত্তা ইত্যাদি কারণে মেয়েরা একাদশে ভর্তির বাইরে থেকে যায়। শিক্ষাবিদরা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় আরও বেশি বিনিয়োগ করার দাবি করে আসছে। পাশাপাশি এ স্তরের মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি বরাবর জোর দিয়ে আসছে তারা।
চলতি বছর নীতিমালা অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী অনলাইন ও এসএমএস-এ সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদনের সুযোগ পেয়েছে। এখন এই আবেদন থেকে শিক্ষার্থীর পছন্দক্রম ও যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তির জন্য একটি কলেজ ঠিক করে দেবে শিক্ষা বোর্ড। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ই জুন। তার আগে ২৫ থেকে ২৭শে মে আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। শুধু পুনঃনিরীক্ষণের ফল পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা ৫ এবং ৬ই জুন। প্রথম পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কলেজ নিশ্চিত করবে ১১ থেকে ১৮ই জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন চলবে ১৯ ও ২০শে জুন। ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ২১শে জুন। ২য় পর্যায়ে কলেজ নিশ্চয়ন করতে পারবে ২২ ও ২৩শে জুন। ৩য় পর্যায়ে আবেদন নেয়া হবে ২৪শে জুন। ২য় মাইগ্রেশন ফল প্রকাশ করা হবে ২৫শে জুন। একই দিনে ৩য় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে এবং তারা কলেজ নিশ্চয়ন করতে হবে ২৬শে জুনের মধ্যে। ভর্তি চলবে ২৭শে জুন থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত। আর ১লা জুলাই একাদশের শ্রেণির নতুন ব্যাচের ক্লাস শুরু হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম দফায় ১০টি কলেজেও যদি কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ না পায়, তাহলে আরও দুই দফায় সে আবেদনের সুযোগ পাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারও ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বিরাট সংখ্যক শিক্ষার্থীর আবেদন না করা প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ বলেন, প্রতিবছর কিছু শিক্ষার্থী ঝরে যায় এটা সত্য। এরমধ্যে অনেকেই কারিগরি ও বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্সেও ভর্তি হয়। তবে যারা প্রথম দফায় আবেদন করতে পারেনি, তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় আবেদন করতে পারবে। গত বছরও লাখখানেক এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থী আবেদন করেনি। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, মাধ্যমিকে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ঝরে যায়। এই স্তরে ৩৮ দশমিক ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি‘র দ্বার পার হতে পারে না। উচ্চমাধ্যমিকে এই ঝরে পড়ার হার অনেকটা কম, ওই স্তরে এ হার ২০ দশমিক ০৮। প্রাথমিকে এই হার সবচেয়ে কম, ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। তবে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, এ স্তরের ঝড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝরে পড়ে মেয়েরা। এর কারণ বিয়ে হয়ে যাওয়া এবং কলেজ দূরে কিংবা নিরাপত্তা ইত্যাদি কারণে মেয়েরা একাদশে ভর্তির বাইরে থেকে যায়। শিক্ষাবিদরা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় আরও বেশি বিনিয়োগ করার দাবি করে আসছে। পাশাপাশি এ স্তরের মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি বরাবর জোর দিয়ে আসছে তারা।