বাংলারজমিন
রংপুরে বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২৫ মে ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে রংপুরে শ্রমিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসির সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন সমাবেশের প্রধান অতিথি রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বলেন, বিড়ি শিল্প বন্ধ হলে দেশের ৩০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে, রংপুরের শ্রমিক ভাই-বোনেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার মানুষের অধিকার নিশ্চিৎ করতে চায়, তাদেরকে মেরে ফেলতে নয়, এদেশে সিগারেট শিল্প থাকলে বিড়ি শিল্পও থাকবে। এ সময় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমকে বাঙালি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হেরিক হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ সভাপতি শামছুল আলম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা শামিম হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ছয় দফা দাবিগুলো হলো- ১.দেশে সিগারেট যতদিন থাকবে, বিড়ি শিল্পও ততদিন থাকবে। ২. প্রতি হাজার বিড়ি তৈরি মজুরি ১০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ৩. প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের আগে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে বিড়ি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বন্ধ করা যাবে না, ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিক ও ১০ লাখ তামাক চাষিকে বেকার করা চলবে না। ৪. ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পকে ‘কুটির শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ৫. ভারতের ন্যায় প্রতি হাজার বিড়িতে শুল্ক ১৪ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ৬. যেসব বিড়ি কারখানা ২০ লাখ শলাকার কম উৎপাদন করে তাদের করমুক্ত রাখতে হবে। উল্লেখ্য, বিড়ির উপর ট্যাক্স বৃদ্ধি এবং সিগারেটের দাম কমে যাওয়ার কারণে সারা দেশের বিড়ি কারখানাগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে রংপুরের বিড়ি শিল্পখ্যাত হারাগাছ এলাকার সর্বশেষ ৫০টি বিড়ি কারখানার মধ্যে গুটি কয়েক কারখানা কোনো রকমে টিকে আছে। ফলে, বেকার হয়ে পড়েছে এর সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ।