বাংলারজমিন
ধর্ষণচেষ্টার দায়ে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
২৫ মে ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহ শহরের মহিষাকুণ্ডু শ্মশানে ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছে শ্রী সাধন রায় (৬৫) নামে এক সেবায়েত সহযোগী। গণপিটুনির পর তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। শ্রী সাধন রায় ঝিনাইদহ শহরের মেছুয়া বাজার পাড়ার বিস্টু পদ রায়ের ছেলে। মহিষাকুণ্ড গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও রহমত মাতব্বর অভিযোগ করেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেবায়েত সহযোগী সাধন রায় বিস্কুট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপর একটি হিন্দু পরিবারের ১৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গ্রামবাসী ধরে গণপিটুনি দিয়ে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির মা রিনা সরকার জানান, তার মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টা নয়, ধর্ষণ করেছে। আমি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার চাই। তিন আরো বলেন, এর আগেও ওই সেবায়েত সহযোগী আমার মেয়েকে ৬-৭ বার ধর্ষণ করেছে। আজ সে কথা মেয়ে আমাকে বলেছে। মহিষাকুণ্ডু শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিষু সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনার পর আমাদের লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ৬৫ বছরের বৃদ্ধ যে এমন কাজ করতে পারে প্রথমে তা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। বিভিন্ন লোকের মোবাইল রিসিভ করতে করতে আর জবাব দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছি। তিনি সেবায়েত সহযোগী সাধন রায়ের শাস্তির দাবি জানান। ঝিনাইদহ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কর্মী বাবলু কুণ্ডু জানান, মেয়েটিকে আইনি সহায়তা দিতে আমরা কাজ শুরু করেছি। প্রথমে আমরা মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে সাধন রায় গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আরো তদন্ত করে দেখছি। ঘটনাস্থলে একজন এসআইকে পাঠানো হয়েছে। এদিকে একটি মহল এই ধর্ষণ ঘটনা চাপা দিতে গভীর রাত পর্যন্ত দেনদরবার চালিয়েছে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের এই ঘটনাটি প্রচার হয়ে তাদের সেই মিশন ব্যর্থ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে সাধন রায় গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আরো তদন্ত করে দেখছি। ঘটনাস্থলে একজন এসআইকে পাঠানো হয়েছে। এদিকে একটি মহল এই ধর্ষণ ঘটনা চাপা দিতে গভীর রাত পর্যন্ত দেনদরবার চালিয়েছে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের এই ঘটনাটি প্রচার হয়ে তাদের সেই মিশন ব্যর্থ হয়ে যায়।