শিক্ষাঙ্গন
পড়তে চায় মনোতোষ
অনলাইন ডেস্ক
২৩ মে ২০১৮, বুধবার, ৪:১৮ পূর্বাহ্ন
অদম্য মেধা ও ইচ্ছাশক্তিকে পুঁজি করে দারিদ্রতার বাধাকে পিছু ফেলে পীরগাছা জে.এন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়েছে মনোতোষ বর্মণ। জেএসসিতেও একই ফল করে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলো সে। কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জনের পরেও দুশ্চিন্তা ভর করেছে মনোতোষের মনে। সে বলে, কঠিন কষ্টের একটা সময় পার করে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি এ জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ কিন্তু সামনের সময় আরও কঠিন, প্রতিযোগীতা আর খরচে ভরা। জানি না কী করব। কীভাবে সবকিছুর ব্যবস্থা হবে?
কলেজে ভর্তি হওয়া আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে একধরনের শঙ্কায় ভুগলেও মনের জোর হারায়নি সে। মনোতোষ বড় হয়ে দেশের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায়।
আধো-অন্ধকার, ছোট একটি টিনের ঘরে তার বাস। ঘরের সঙ্গে ছোট একটি বারান্দার কোণে মনোতোষের পড়ার টেবিল। বৃষ্টির দিন পানি ঢুকে বই-খাতা, বিছানা ভিজে যায়। শীতকালে ঠান্ডা বাতাসের কষ্ট। টাকার অভাবে কয়েক বছর ঘরটি মেরামত করা যায়নি। পলিথিনে জোড়াতালি দিয়েই চলছে এত দিন।
অদম্য মেধাবী মনোতোষের বাবা পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। পড়াশুনার খরচের জন্য মনোতোষকেও বাবার সঙ্গে কাজ করতে হয়। বসতভিটার চার শতক জমি ছাড়া আর কোন জমিজমা নাই তাদের। বাবা গণেশ চন্দ্র বলেন, ছেলেটার মাথা ভালো পড়তে চায়, ভালো পাস দেয়। কিন্তু আমি মাস্টার দিতি পারি না, খাতি দিতি পারি না। জানালেন, মানুষের সাহায্যের ওপরই চলে ছেলের লেখাপড়া। ভর্তির খরচ, স্কুল পোশাক, পরীক্ষার ফি, কাগজ-কলম, নোট-বই সবই মানুষের দেয়া। মানুষের দরজায় ঘুরে নিজের ওপরে বিরক্ত এই মায়ের প্রশ্ন, কন, এইভাবে কত মাইনষের কাছে হাত পাতা যায়? সমাজের বড়লোকরা যদি একটু সাহায্য করতো তাইলে ছেলেটা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হইতে পারতো।
পীরগাছা জে.এন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী কৈলাশ চন্দ্র মোহন্ত বলেন, দারিদ্র্যসহ কোনো প্রতিকূলতাই আটকে রাখতে পারেনি মনোতোষকে। সহযোগীতা পেলে আশা করি সে অনেক দুর এগিয়ে যাবে।
কলেজে ভর্তি হওয়া আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে একধরনের শঙ্কায় ভুগলেও মনের জোর হারায়নি সে। মনোতোষ বড় হয়ে দেশের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায়।
আধো-অন্ধকার, ছোট একটি টিনের ঘরে তার বাস। ঘরের সঙ্গে ছোট একটি বারান্দার কোণে মনোতোষের পড়ার টেবিল। বৃষ্টির দিন পানি ঢুকে বই-খাতা, বিছানা ভিজে যায়। শীতকালে ঠান্ডা বাতাসের কষ্ট। টাকার অভাবে কয়েক বছর ঘরটি মেরামত করা যায়নি। পলিথিনে জোড়াতালি দিয়েই চলছে এত দিন।
অদম্য মেধাবী মনোতোষের বাবা পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। পড়াশুনার খরচের জন্য মনোতোষকেও বাবার সঙ্গে কাজ করতে হয়। বসতভিটার চার শতক জমি ছাড়া আর কোন জমিজমা নাই তাদের। বাবা গণেশ চন্দ্র বলেন, ছেলেটার মাথা ভালো পড়তে চায়, ভালো পাস দেয়। কিন্তু আমি মাস্টার দিতি পারি না, খাতি দিতি পারি না। জানালেন, মানুষের সাহায্যের ওপরই চলে ছেলের লেখাপড়া। ভর্তির খরচ, স্কুল পোশাক, পরীক্ষার ফি, কাগজ-কলম, নোট-বই সবই মানুষের দেয়া। মানুষের দরজায় ঘুরে নিজের ওপরে বিরক্ত এই মায়ের প্রশ্ন, কন, এইভাবে কত মাইনষের কাছে হাত পাতা যায়? সমাজের বড়লোকরা যদি একটু সাহায্য করতো তাইলে ছেলেটা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হইতে পারতো।
পীরগাছা জে.এন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী কৈলাশ চন্দ্র মোহন্ত বলেন, দারিদ্র্যসহ কোনো প্রতিকূলতাই আটকে রাখতে পারেনি মনোতোষকে। সহযোগীতা পেলে আশা করি সে অনেক দুর এগিয়ে যাবে।