বিনোদন
চলে গেলেন তাজিন আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ মে ২০১৮, বুধবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
চলে গেলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও উপস্থাপক তাজিন আহমেদ। গতকাল বিকাল ৪টা ৩৪ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। এদিন সকাল ১০টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে। বিকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে তাজিন আহমেদের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান অভিনেতা রিয়াজ, রওনক হাসান, নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ, সকাল আহমেদ, অভিনেত্রী জেনীসহ অনেকেই। অনেকদিন ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত ছিলেন তাজিন আহমেদ। গুণী এ অভিনেত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর করেন।
এরপর সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ভোরের কাগজ, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। আনন্দ ভুবন ম্যাগাজিনের কলামিস্টও ছিলেন তিনি। পরে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মা দিলারা জলির প্রোডাকশন হাউজ ছিল। মায়ের হাত ধরেই অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন তাজিন। নাটকের দল ‘নাট্যজন’-এর হয়ে তিনি মঞ্চে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টিভি নাটকে অভিনয় করে অল্প সময়েই অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা পান তাজিন আহমেদ। টিভি নাটকে তার যাত্রা শুরু হয় দিলারা জলি রচিত ও শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত ‘শেষ দেখা শেষ নয়’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। নাটকটি ১৯৯৬ সালে বিটিভিতে প্রচার হয়েছিল। এ নাটকে তার বিপরীতে ছিলেন তৌকীর আহমেদ। এরপর আরও অনেক দর্শকপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি।
তাজিন আহমেদ রেডিও এবং টেলিভিশনে উপস্থাপনাও করেছেন। অভিনয়ে আসার কয়েক বছর আগে নিজেকে উপস্থাপনায় সম্পৃক্ত করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘চেতনা’ নামক অনুষ্ঠানে। এরপর আরও অনেক অনুষ্ঠানেরই উপস্থাপক হিসেবে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। তবে এনটিভিতে ‘টিফিনের ফাঁকে’ অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেছেন তাজিন আহমেদ টানা একযুগ। লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এ তারকা বেশকিছু নাটক লিখেছেন ও পরিচালনাও করেছেন। তাজিনের লেখা ও পরিচালনায় তৈরি হয় ‘জাতক’ ও ‘যোগফল’ নামে দু’টি নাটক। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘অনুর একদিন’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘হুম’, ‘সম্পর্ক’ ইত্যাদি। তাজিন আহমেদের জন্ম ১৯৭৫ সালের ৩০শে জুলাই। তার বাবা কামাল আহমেদ ও মা দিলারা জলি। ব্যক্তিগত জীবনে ড্রামার রুমি রহমানকে বিয়ে করে সংসার করছিলেন তিনি।
এরপর সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ভোরের কাগজ, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। আনন্দ ভুবন ম্যাগাজিনের কলামিস্টও ছিলেন তিনি। পরে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মা দিলারা জলির প্রোডাকশন হাউজ ছিল। মায়ের হাত ধরেই অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন তাজিন। নাটকের দল ‘নাট্যজন’-এর হয়ে তিনি মঞ্চে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টিভি নাটকে অভিনয় করে অল্প সময়েই অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা পান তাজিন আহমেদ। টিভি নাটকে তার যাত্রা শুরু হয় দিলারা জলি রচিত ও শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত ‘শেষ দেখা শেষ নয়’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। নাটকটি ১৯৯৬ সালে বিটিভিতে প্রচার হয়েছিল। এ নাটকে তার বিপরীতে ছিলেন তৌকীর আহমেদ। এরপর আরও অনেক দর্শকপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি।
তাজিন আহমেদ রেডিও এবং টেলিভিশনে উপস্থাপনাও করেছেন। অভিনয়ে আসার কয়েক বছর আগে নিজেকে উপস্থাপনায় সম্পৃক্ত করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘চেতনা’ নামক অনুষ্ঠানে। এরপর আরও অনেক অনুষ্ঠানেরই উপস্থাপক হিসেবে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। তবে এনটিভিতে ‘টিফিনের ফাঁকে’ অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেছেন তাজিন আহমেদ টানা একযুগ। লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এ তারকা বেশকিছু নাটক লিখেছেন ও পরিচালনাও করেছেন। তাজিনের লেখা ও পরিচালনায় তৈরি হয় ‘জাতক’ ও ‘যোগফল’ নামে দু’টি নাটক। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘অনুর একদিন’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘হুম’, ‘সম্পর্ক’ ইত্যাদি। তাজিন আহমেদের জন্ম ১৯৭৫ সালের ৩০শে জুলাই। তার বাবা কামাল আহমেদ ও মা দিলারা জলি। ব্যক্তিগত জীবনে ড্রামার রুমি রহমানকে বিয়ে করে সংসার করছিলেন তিনি।