বাংলারজমিন
রং নাম্বারের ফোনই কাল হলো রোজিনার
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২৩ মে ২০১৮, বুধবার, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
রং নাম্বারের মোবাইল ফোনই হলো রোজিনার জীবনের কাল। মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ওই তরুণীকে হত্যা করেছে প্রেমিক ট্রাক চালক কছিম উদ্দিন। হত্যার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ। পুলিশ প্রথমে এটিতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড ভেবে অজ্ঞাত হিসেবে লাশ দাফন করে। পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের ক্লু বের হলে জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রাক চালক কছিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র এসআই নাজমুল কাদের জানান, ঢাকার আশুলিয়া জিলানী বাজার এলাকার রোজিনা (২২) নামের মেয়েটির সাথে রং নাম্বারে পরিচয় হয় মুন্সিগঞ্জের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ট্রাক ড্রাইভার কছিম উদ্দিনের। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা ঘনিষ্ঠতাসহ প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। প্রেমের টানে রোজিনা নারায়ণগঞ্জে ছুটে যায় কছিমের কাছে। সেখানে তারা প্রায় ৩ সপ্তাহ একটি বাসায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে এক সাথে বসবাস করে। রোজিনা বিয়ের জন্য কছিমকে চাপ দিলে কছিম কৌশলে মেয়েটিকে তার খালার বাসা রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সাতভিটা গ্রামে নিয়ে আসে। সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করার পর নারায়ণগঞ্জ আসার নাম করে তাকে কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নে হত্যা করে বিলের ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ২০১৬ সালের ৫ই নভেম্বরের। এলাকাবাসী ওই লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তরুণীর গলা, পেট ও বুকে ছুরিকাঘাত করা লাশ উদ্ধার করে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কাউনিয়া থানার এসআই শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। কিন্তু ৭ মাসেও হত্যার রহস্য ও খুনিকে শনাক্ত করতে না পেরে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় সিআইডি পুলিশের কাছে। দীর্ঘদিন মামলার তদন্ত শেষে সিআইডি নিশ্চিত হয় হত্যাকাণ্ডে ড্রাইভার কছিম উদ্দিন জড়িত।
এরপর তাকে পীরগাছা উপজেলার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কছিম উদ্দিন স্বীকার করেন তিনি একাই ওই তরুণীকে হত্যা করেছেন।
এরপর তাকে পীরগাছা উপজেলার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কছিম উদ্দিন স্বীকার করেন তিনি একাই ওই তরুণীকে হত্যা করেছেন।