বাংলারজমিন
সিংগাইর পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম অবরুদ্ধ
সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
২২ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার অভিযোগে মিটার রিডার-কাম ম্যাসেঞ্জারদের অবরুদ্ধের শিকার হয়েছেন সিংগাইর পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মাহবুবুর রহমান। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার নিজ অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন তার অধীনস্থ প্রতিবাদকারী মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মিটার রিডারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিজিএম মাহবুবুর রহমান এ অফিসে যোগদানের পর থেকে কারণে-অকারণে কারণ দর্শানো নেটিশ প্রদানসহ চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়ে চলছেন। এ কর্ম এলাকায় ৩৭ জন মিটার রিডারের মধ্যে ১১ জনকে দেয়া হয়েছে শোকজ নোটিশ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাদের দিয়ে দপ্তরাশেদের বাইরে অতিরিক্ত মিটার রিডিং, বকেয়া বিল, সাব-স্টেশনে ডিউটি, মিটার পরিবর্তন, নাইট অপারেশন ও সেচ বিল আদায়সহ অতিরিক্ত কাজ করানো হয়ে থাকে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে শোকজ নোটিশের বাইরেও অশোভন আচরণ, হুমকি-ধামকিসহ চাকরিচ্যুতির ভয় দেখানো হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে মো. রাশেদুজ্জামান, আনিসুর রহমান, আরিফ হোসেন ও মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ছাড়া আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবো। সেই সঙ্গে মিটার রিডাররা মানিকগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের (জিএম) হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান করছেন। এদিকে, সিংগাইর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ৮ অঞ্চলের পরিচালক ফয়েজুল ইসলাম খানের মধ্যস্থতায় সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। অবরুদ্ধ পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, দাপ্তরিক কাজের জন্য বিভিন্ন সময় তাদের চিঠি ইস্যু করতে হয়। মিটার রিডারদের সঙ্গে কথা না বলে কিছু বলতে পারছি না। আশা করি, তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।