দেশ বিদেশ
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
২১ মে ২০১৮, সোমবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। তিনি আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অসহযোগিতায় অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাসময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হতে হবে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ জাতীয় নাগরিক সমন্বয় সেলভুক্ত ৯টি সংস্থার পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সুলতানা কামাল বলেন, অর্পিত সম্পত্তির নামে জাতীয়করণ করা সম্পত্তি আসল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া হবে বলে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন করা হয়েছিল। এ জন্য লক্ষাধিক মামলা এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণের বিষয়ে আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত। একই সঙ্গে এই রায় ও ডিক্রি বাস্তবায়নের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। কিন্তু জেলা প্রশাসকদের কেউ কেউ সেই আইন মানছেন না। সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি সংবলিত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। লিখিত এ বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, এ আইন বাস্তবায়নে আইন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। ভুক্তভোগীদের ভোগান্তি ও দুর্দশা লাঘবে তাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আইন মন্ত্রণালয় থেকে গত ৩রা এপ্রিল তারিখের পরিপত্রে এ ধরনের প্রস্তাব প্রেরণ ‘আইন ও বিধিবহির্ভূত’ উল্লেখ করে সলিসিটর অনুবিভাগে প্রস্তাব না পাঠানোর বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয় এবং এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ভূমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। আমরা এই পরিপত্রের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে সাধুবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, দেশের প্রথিতযশা গবেষকদের গবেষণায় দেখা গেছে ১৯৬৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মোট ২৭ লক্ষ হিন্দু খানা’র মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু খানা মোট ২৬ লক্ষ একর ভূমি হারিয়েছে। এই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বঞ্চনার অবসানের লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তাদের ক্ষোভ ও কষ্টের কথা দেশবাসীকে নানাভাবে জানিয়ে এসেছে। এখন সময় এসেছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সংগঠন ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের সুব্রত চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, কাজল দেবনাথ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, দেশের প্রথিতযশা গবেষকদের গবেষণায় দেখা গেছে ১৯৬৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মোট ২৭ লক্ষ হিন্দু খানা’র মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু খানা মোট ২৬ লক্ষ একর ভূমি হারিয়েছে। এই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বঞ্চনার অবসানের লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তাদের ক্ষোভ ও কষ্টের কথা দেশবাসীকে নানাভাবে জানিয়ে এসেছে। এখন সময় এসেছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সংগঠন ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের সুব্রত চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, কাজল দেবনাথ প্রমুখ।