বাংলারজমিন
কুলাউড়ায় টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২১ মে ২০১৮, সোমবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘদিন থেকে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি চক্রের দৌরাত্ম্য চলছে। দিন দিন সেই চক্রের দৌরাত্ন্য বেড়েই চলছে। সিসিটিভি স্থাপনসহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েও সেই চক্রের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এবার ওই চক্র ট্রেনের জাল টিকেট তৈরি করে নেমেছে নতুন প্রতারণায়। সর্বশেষ গত ১৪ই মে রাতে আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের জাল টিকেট নিয়ে কুলাউড়া স্টেশনে ঘটে চরম হট্টগোল। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এক ঘণ্টা ট্রেন আটকে রাখেন। জাল টিকেট তৈরির সঙ্গে স্টেশনে কর্মরতদের যোগসাজশ রয়েছে। সূত্র জানায়, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেণু চিকিৎসা নিতে আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার জন্য টিকেট করতে ওইদিন সকালে স্টেশনে আসেন। রফিকুল ইসলাম রেণুসহ ৪ জন যাত্রী কাউন্টারে গিয়ে টিকেট পাননি। এসময় কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কালোবাজারি টিকেট বিক্রেতা মখদ্দছ আলী তার কাছে ৪ টি টিকেট রয়েছে বলে জানায়। এ সময় রফিকুল ইসলাম রেণু কাউন্টারে দায়িত্বরত রাজুকে নিয়ে ট্রেনের ‘গ’ বগির প্রথম শ্রেণি বার্থ এর ৪ টি টিকেট অতিরিক্ত দামে মখদ্দছ আলীর কাছ থেকে ক্রয় করেন। রাতে নির্ধারিত সময়ে তারা ট্রেনে উঠে আসনে গিয়ে দেখেন তাদের আসনে অন্য যাত্রীরা বসে আছেন। এ সময় আসনে বসা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কথাকাটি শুরু হলে ট্রেনে দায়িত্বরত পরিচালক (গার্ড) এসে দেখতে পান উভয়ের টিকেটের হুবহু মিল রয়েছে। পরে তার সন্দেহ হলে কাউন্টারে গিয়ে টিকেটের নম্বর মিলিয়ে দেখতে পান রফিকুল ইসলাম রেণুসহ ৪ যাত্রীর টিকেট জাল।
এদিকে ঘটনা জানতে পেরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেন আটকে রাখেন। পরে যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কুলাউড়া স্টেশন থেকে একঘণ্টা বিলম্বে আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ বিষয়ে কালোবাজারি মখদ্দছ আলী জানান, আমি এক যাত্রীর কাছ থেকে টিকেট ক্রয় করে রফিকুল ইসলাম রেণুসহ অন্যদের কাছে বিক্রি করেছি।
টিকেট কাউন্টারের হেড ক্লার্ক বুরহান উদ্দিন রাজু জানান, সারা দেশে টিকেট কালোবাজারি হয়, কুলাউড়াতেও হচ্ছে। তবে এই টিকেট আমি কাউন্টার থেকে বিক্রি করিনি। মখদ্দছ আলী কোথায় থেকে এনে বিক্রি করেছেন তা আমার জানা নেই। কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মফিজুল ইসলাম জানান, আমি রেলওয়ে থানার ওসিকে বলেছি কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।
এদিকে ঘটনা জানতে পেরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেন আটকে রাখেন। পরে যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কুলাউড়া স্টেশন থেকে একঘণ্টা বিলম্বে আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ বিষয়ে কালোবাজারি মখদ্দছ আলী জানান, আমি এক যাত্রীর কাছ থেকে টিকেট ক্রয় করে রফিকুল ইসলাম রেণুসহ অন্যদের কাছে বিক্রি করেছি।
টিকেট কাউন্টারের হেড ক্লার্ক বুরহান উদ্দিন রাজু জানান, সারা দেশে টিকেট কালোবাজারি হয়, কুলাউড়াতেও হচ্ছে। তবে এই টিকেট আমি কাউন্টার থেকে বিক্রি করিনি। মখদ্দছ আলী কোথায় থেকে এনে বিক্রি করেছেন তা আমার জানা নেই। কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মফিজুল ইসলাম জানান, আমি রেলওয়ে থানার ওসিকে বলেছি কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।