বাংলারজমিন
বরগুনায় ইজ্জতের মূল্য ৩০ হাজার টাকা
বরগুনা প্রতিনিধি
২১ মে ২০১৮, সোমবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চৌধুরী মাসুম টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের তৃতীয় শ্রেণির এক নারী কর্মচারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিসে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে পাথরঘাটার এক নারী জনপ্রতিনিধি। এ সময় নির্ধারিত টাকার বিনিময়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনেস্টবল রুবেলকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই জনপ্রতিনিধি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা থানায় কর্মরত পুলিশ কনেস্টবল মো. রুবেল হোসেনের সঙ্গে পাথরঘাটা চৌধুরী মাসুম টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের তৃতীয় শ্রেণির নারী কর্মচারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে রুবেল তার প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য বাড়িতে যায়। এ সময় বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে রুবেল। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন ওই নারীর গহরপুরে গ্রামের বসতঘর থেকে রুবেলকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীনের কাছে হস্তান্তর করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন ও তার স্বামী রেজাউল কবির মিরাজ ওই রাতে সালিশ বৈঠকে ওই নারীর অসম্মতিতে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পুলিশ কনেস্টবল মো. রুবেলকে ছেড়ে দেয়। ওই নারী আরো বলেন, এ টাকা না নিলে তাকে পাথরঘাটা ছাড়ারও হুমকি দেন জনপ্রতিনিধি ও তার স্বামী। এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন বলেন, এ মেয়েটির দুটি সন্তান আছে আগের সংসারের, কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল ছেলেটি অবিবাহিত থাকায় তাদের সঙ্গে বিবাহ দিতে পারিনি। ঘটনার বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত পুলিশ কনেস্টবল রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মো. খবীর আহমেদ বলেন, ওই পুলিশ কনেস্টবল বরগুনা পুলিশ লাইন থেকে গহরপুর ক্যাম্পের হওয়ায় আমি ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
ভুক্তভোগী নারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা থানায় কর্মরত পুলিশ কনেস্টবল মো. রুবেল হোসেনের সঙ্গে পাথরঘাটা চৌধুরী মাসুম টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের তৃতীয় শ্রেণির নারী কর্মচারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে রুবেল তার প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য বাড়িতে যায়। এ সময় বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে রুবেল। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন ওই নারীর গহরপুরে গ্রামের বসতঘর থেকে রুবেলকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীনের কাছে হস্তান্তর করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন ও তার স্বামী রেজাউল কবির মিরাজ ওই রাতে সালিশ বৈঠকে ওই নারীর অসম্মতিতে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পুলিশ কনেস্টবল মো. রুবেলকে ছেড়ে দেয়। ওই নারী আরো বলেন, এ টাকা না নিলে তাকে পাথরঘাটা ছাড়ারও হুমকি দেন জনপ্রতিনিধি ও তার স্বামী। এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন বলেন, এ মেয়েটির দুটি সন্তান আছে আগের সংসারের, কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল ছেলেটি অবিবাহিত থাকায় তাদের সঙ্গে বিবাহ দিতে পারিনি। ঘটনার বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত পুলিশ কনেস্টবল রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মো. খবীর আহমেদ বলেন, ওই পুলিশ কনেস্টবল বরগুনা পুলিশ লাইন থেকে গহরপুর ক্যাম্পের হওয়ায় আমি ব্যবস্থা নিতে পারছি না।