দেশ বিদেশ

হাসিনার সম্মানে দেয়া ইফতারে মমতাকে আমন্ত্রণ

কলকাতা প্রতিনিধি

২০ মে ২০১৮, রবিবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময় তাঁর সম্মানে বংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি ইফতারের আযোজন করেছেন। কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে আয়োজিত সেই ইফতার পার্টিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং বুদ্ধিজীবীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২৫ মে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করে কলকাতায় ফিরে এই ইফতারে শেখ হাসিনা যোগ দেবেন। ইফতারের পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। তবে ইফতারে মমতা হাজির থাকবেন কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অবশ্য দূতাবাস সুত্রে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর না আসার কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী ইফতারে সৌজন্যের খাতিরে যোগ দিলেও হাসিনার সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা বা বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনে হাজির থাকতে পারবেন না বলে মৌখিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জানানোর পর গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাঁকে দুই প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্টানে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন এদিন জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর আসার ব্যাপারে নিশ্চিত কোনও তথ্য বা চিঠি তিনি এখনও পান নি। কূটনৈতিক মহল আশাবাদী যে, মমতা শেষ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাজির থাকবেন। দুই জায়গাতেই শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।

 এদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর যে সফর সূচি জানা গেছে, তাতে শান্তিনিকেতন থেকে ফিরে ২৫ মে বিকেলে শেখ হাসিনা যাবেন এলগিন রোডের ঐতিহাসিক নেতাজী ভবনে। পরের দিন আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি গ্রহণ করার পর কলকাতায় ফিরে জোড়াসাঁকোয় ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শনে যাবেন। তিনি ঘুরে দেখবেন রবীন্দ্র মিউজিয়ামটিও। এই মিউজিয়ামে বাংলাদেশ গ্যালারিতে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশে থাকার নানা ছবি। এছাড়া রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পদ্মার বোটের একটি রেপ্লিকাও। ২৫ মে সকালে শেখ হাসিনা কলকাতা নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। তাঁর সঙ্গে আসবেন কয়েক জন মন্ত্রী, সরকারী কর্মকর্তা ও সাংবাদিক সহ প্রায় ৫০ জনের এক প্রতিনিধিদল। প্রায় একই সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দিল্লি থেকে কলকাতায় নামবেন। সেখান থেকে দুই প্রধানমন্ত্রী এক সঙ্গে হেলিকপ্টারে করে শান্তিনিকেতন যাবেন। প্রথমে দুজনেই বিশ্ববিদ্যালযের সমাবর্তনে যোগ দেবেন। মোদী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য। সেখানকার অনুষ্টান থেকে দুই প্রধানমন্ত্রী যাবেন বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করতে। একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন বলে জানা গেছে। এরপরে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী একান্তে আলোচনায় বসবেন। নির্ধারিত কোন সূচি নিয়ে আলোচনা হবে না। দু দেশের সম্পর্কই আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে ক’টনৈতিক মহলের ধারনা। এর পরে তিনি কলকাতায় ফিরে এসে অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরের দিন সকালে হেলিকপ্টারে অন্ডালে যাবেন। সেখান থেকে সড়ক পথে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেবেন। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে শেখ হাসিনার অবদানের কথা মনে রেখেই তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে দুপুরের মধ্যে ফিরে কলকাতার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। রাতে ফিরে যাবেন ঢাকা।


   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status