দেশ বিদেশ
অবৈধ আইফোন ধরতে অভিযান সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার
২০ মে ২০১৮, রবিবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আনা আইফোন জব্দ করতে রাজধানীর একটি অভিজাত বিপণী বিতানে অভিযান চালিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এ অভিযানের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। পরে আলোচনার ভিত্তিতে জব্দ আইনফোন নিজেদের দপ্তরে নিয়ে যান গোয়েন্দারা। যেসব ব্যবসায়ী বৈধতার কাগজ দেখাতে প ারবেন তাদের ফোন ফিরিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। শুল্ক গোয়েন্দা ও মোবাইল দোকান মালিকেরা জানান, গতকাল সকাল ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিচালক কাজী মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্ব একটি দল রাজধানীর দক্ষিণ পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে আসেন। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা ছিলেন। তারা শপিংমলের নিচতলা, দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় প্রায় ৫০টি দোকানে অভিযান চালান। শুল্ক কর্মকর্তারা আমদানিকৃত আইফোনের নথিপত্র দেখতে চান। বৈধ কাগজপত্র না দেখানোর কারণে লেবেল-১ এর বড় ৫টি দোকান থেকে প্রায় ১০০টি আইফোন জব্দ করা হয়। দোকানগুলো হলো গ্যাজেট জোন, সেল ওয়ান, ফোন এক্সচেঞ্জ, নিশা টেলিকম ও শিকদার ইলেকট্রনিক্স। এই আইফোনের অধিকাংশ স্যামসাং ও সনি কোম্পানির। এ সময় দোকান মালিকদের সঙ্গে অভিযান পরিচালনাকারীদের বচসা হয়। তারা তাদের মোবাইল ফোন ফেরতের দাবি জানান। দুপুর ১টার দিকে এই অভিযান শেষ করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা শপিং মলের বাইরে বের হয়ে আসেন। তারা গাড়িতে উঠলে গাড়ির সামনে ৫টি দোকানের মালিকসহ বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের অন্য মোবাইলের দোকান মালিকেরা তাদের গাড়ি ঘিরে ধরে। এ সময় পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা তাদের গাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। তখন দোকান মালিকদের সঙ্গে র্যাব ও পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে শুল্ক গোয়েন্দারা চলে গেলে দোকান মালিকেরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে ওই এলাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা পান্থপথের মোড়ের দিকে আসতে চাইলে পুলিশ তাদের ঘিরে রাখে। অভিযানের কারণে বসুন্ধরা শপিং মলে অন্যান্য দোকানে বেচাকেনা বিঘ্নিত হয়।
গ্যাজেট জোনের সেলসম্যান মো. ইউনুস আলী মানবজমিনকে জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে আমরা আইফোন বিক্রয় করে থাকি। আমাদের সব নথিপত্র গোডাউনে আছে বলে অভিযান পরিচালনাকারীদের জানালে তারা তাৎক্ষণিক দেখতে চান। কোনো সময় না দিয়ে আমাদের দোকান থেকে ২৫টি আইফোন নিয়ে যায়। সেল ওয়ানের বিক্রয় প্রতিনিধি সুমন জানান, আমাদের কাছে রাজস্বের নথি আছে তাদের বললেও তারা আইফোন জব্দ করে নিয়ে গেছে। ১০০টি আইফোনের দাম প্রায় ৯০ লাখ টাকা।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মল ইলেকট্রনিক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. কতুব উদ্দিন জানান, এরআগেও আমাদের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে। এবারের অভিযানে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। কারণ হচ্ছে যে, আগে যে অভিযান চালানো হয়েছে সেই সময়ে জব্দকৃত মোবাইল ফোনের কাগজ দেখানোর পর তারা পরে ফেরত দেয়নি। এদিকে বেলা পৌনে ৩টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিচালক কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন দোকান মালিকদের সঙ্গে একটি সমঝোতার বৈঠকে বসেন। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে সেই বৈঠকটি শেষ হয়। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, যারা বৈধভাবে মোবাইলের ব্যবসা করছেন তাদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে, রাজস্ব ফাঁকি দেয়া এবং চোরাই মোবাইলের বেচাকেনা বেড়ে গেছে। সেই সূত্র ধরে আমরা এখানে অভিযানে আসি। তিনি আরো জানান, যাদের দোকানে অভিযান চালিয়ে আইফোন জব্দ করা হয়েছে তাদেরকে আমরা বলেছি যে, তারা যদি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে আমরা তাদের ফেরত দিবো। আর যদি না দেখাতে পারে তাহলে আমরা সেইগুলো জব্দ করবো।
বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মো. জসিম উদ্দিন মানবজমিনকে জানান, এটা তাদের নিয়মিত অভিযান। এখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যারা সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিবে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক এ ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে অবরোধকারীরা সড়ক থেকে চলে গেলে যানবাহনের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
গ্যাজেট জোনের সেলসম্যান মো. ইউনুস আলী মানবজমিনকে জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে আমরা আইফোন বিক্রয় করে থাকি। আমাদের সব নথিপত্র গোডাউনে আছে বলে অভিযান পরিচালনাকারীদের জানালে তারা তাৎক্ষণিক দেখতে চান। কোনো সময় না দিয়ে আমাদের দোকান থেকে ২৫টি আইফোন নিয়ে যায়। সেল ওয়ানের বিক্রয় প্রতিনিধি সুমন জানান, আমাদের কাছে রাজস্বের নথি আছে তাদের বললেও তারা আইফোন জব্দ করে নিয়ে গেছে। ১০০টি আইফোনের দাম প্রায় ৯০ লাখ টাকা।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মল ইলেকট্রনিক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. কতুব উদ্দিন জানান, এরআগেও আমাদের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে। এবারের অভিযানে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। কারণ হচ্ছে যে, আগে যে অভিযান চালানো হয়েছে সেই সময়ে জব্দকৃত মোবাইল ফোনের কাগজ দেখানোর পর তারা পরে ফেরত দেয়নি। এদিকে বেলা পৌনে ৩টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিচালক কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন দোকান মালিকদের সঙ্গে একটি সমঝোতার বৈঠকে বসেন। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে সেই বৈঠকটি শেষ হয়। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, যারা বৈধভাবে মোবাইলের ব্যবসা করছেন তাদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে, রাজস্ব ফাঁকি দেয়া এবং চোরাই মোবাইলের বেচাকেনা বেড়ে গেছে। সেই সূত্র ধরে আমরা এখানে অভিযানে আসি। তিনি আরো জানান, যাদের দোকানে অভিযান চালিয়ে আইফোন জব্দ করা হয়েছে তাদেরকে আমরা বলেছি যে, তারা যদি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে আমরা তাদের ফেরত দিবো। আর যদি না দেখাতে পারে তাহলে আমরা সেইগুলো জব্দ করবো।
বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মো. জসিম উদ্দিন মানবজমিনকে জানান, এটা তাদের নিয়মিত অভিযান। এখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যারা সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিবে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক এ ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে অবরোধকারীরা সড়ক থেকে চলে গেলে যানবাহনের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।