ভারত
কর্ণাটকে দুদিনেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ
কলকাতা প্রতিনিধি
১৯ মে ২০১৮, শনিবার, ৭:৩১ পূর্বাহ্ন
কর্ণাটকের বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সরকার চালানোর ভাগ্য নেই। আর তাই আগের বার সাতদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবার পর দায়িত্ব ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। এবারও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মাত্র দুদিন থাকার পর পদত্যাগ করে তাকে পালাতে হল। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আর আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে হয়নি। বিরোধী শিবির থেকে শত কোটি রুপির টোপ দিয়েও বিধায়ক ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও বিমর্ষ হয়ে পড়েছে। ফলে মোদী-শাহর দাক্ষিনাত্য বিজয়ের স্বপ্ন আপাতত অধরাই রয়ে গিয়েছে। জানা গেছে, কংগ্রেস ও জনতা দল সেকুলারের বিধায়কদের ভাঙানোর মরিয়া খেলায় সফল হতে পারেনি বিজেপি। হার নিশ্চিত জেনে আস্থাভোটেই যান নি ইয়েদুরাপ্পা। শনিবার দুপুরেই ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। কংগ্রেস এবং জনতা দল সেকুলার নিজেদের বিধায়কদের একজোট করে প্রতিবেশী রাজ্যে নিয়ে গিয়ে রেখেছিল দু’দিন আগেই। আজ শনিবার সকালেই দু’দলের বিধায়করা একজোট হয়েই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন। এবারের নির্বাচনে ২২২টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় নি। বিজেপি ১০৪টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হলেও ভোট পরবর্তী জোট করে কংগ্রেস ও জনতা দল সেকুলার ছাপিয়ে গিয়েছে সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক নম্বর ১১২। রাজ্যপাল অবশ্য বিজেপিকে সরকারপঠন করতে ডেকেছিল। তবে বিরোধীরা সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। মধ্য রাতে নজিরবিহীন ভাবে শুনানীতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পরেন দিনের সময় সীমা নয় মাত্র ৩০ ঘণ্টার মধ্যে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। এদিন বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগেও বিজেপি দাবি করেছিল ১১২ জন বিধায়কের সমর্থন তারা নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিধানসভায় ভাষণ দিতে উঠে ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, কর্নাটকের মানুষের রায় আমাদের দিকে ছিল। কংগ্রেসও জনতা দল সেকুলার জোট হেরেছে এই নির্বাচনে। কিন্তু তার আগেই বিজেপি বুঝে গিয়েছিল আস্থা ভোটে জেতার সংখ্যা কোনও ভাবেই ‘কিনে ফেলা’ যায়নি। ফলে আস্থাভোটে হার নিশ্চিত বুঝে ইয়েদুরাপ্পা রাজ্যপাল বজুভাই বালার হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন।