দেশ বিদেশ
খালেদার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি শিক্ষকদের
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন ইউট্যাবের নেতারা। একইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসেরও মুক্তি দাবি করা হয়। সংগঠনের ৬২৫ জন শিক্ষক এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সমপ্রতি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা দেখে তার আত্মীয়স্বজনরা বেদনাহত হয়েছেন। তার শারীরিক অসুস্থতা ক্রমাগত অবনতিশীল। হাঁটুর ব্যথা এখন আরো তীব্র হয়েছে। বাম হাতের ব্যথায় তিনি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। সার্ভাইক্যাল স্পনডাইলোসিসের কারণে হাত-পা নাড়াতে তার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। ইতিপূর্বে তার চোখে অস্ত্রোপচার হওয়ায় এখন চিকিৎসার অভাবে চোখ সবসময় লাল থাকছে। বিবৃতিতে বলা হয়, একজন বয়স্ক নারীকে দীর্ঘদিন জেলখানায় আটক রাখা অন্যায়। তিনি তো বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। যাতে তিনি আবারো নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে এসে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারেন। বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, বাংলাদেশে এমনিতেই রাজনৈতিক অচলাবস্থা বিরাজ করছে। দেশের মানুষ আজকে স্বস্তিতে নেই। চাল, ডাল, তেল, গ্যাস বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। মানুষ আজ দিশাহারা। কিন্তু সেদিকে সরকার নজর না দিয়ে আজকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিতে ব্যস্ত। এমতাবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে নেয়া মানে তাকে নির্বাচনের বাইরে রাখার অপচেষ্টা। আপিলের রায়ে খালেদা জিয়ার জামিনের পর তার মুক্তিতে কোনো হস্তক্ষেপ না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রোজার আগেই তার মুক্তি দাবি করেন শিক্ষকরা। ইউট্যাবের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. এম ফরিদ আহমেদ, ড. আব্দুর রশিদ, প্রফেসর আমিনুল ইসলাম মজুমদার, সৈয়দ আবুল কালাম আযাদ, প্রফেসর লুৎফর রহমান, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. গোলাম রব্বানী, ড. মাহফুজুল হক, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী, ড. এমএ বারী মিয়া, প্রফেসর খায়রুল, ড. শামসুল আলম সেলিম, ড. সাব্বির মোস্তফা খান, প্রফেসর তোজাম্মেল, কৃষিবিদ প্রফেসর আবদুল করিম, ড. মো. সাইফুল ইসলাম বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।