দেশ বিদেশ

নাকবা দিবসের ইতিহাস

বিবিসি বাংলা

১৭ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সঙ্গে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ করছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করেই ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সোমবার প্রাণ হারালো ৬০ জনের মতো বিক্ষোভকারী। ফিলিস্তিনের ইতিহাসে এটি আরো একটি শোকাবহ দিন। ১৫ই মে মঙ্গলবারেও সেখানে বিক্ষোভ হচ্ছে। দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা পালন করছে আল-নাকবা দিবস বা বিপর্যয়ের দিবস হিসেবে। এই দিন থেকেই ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়তে শুরু করে। কিভাবে শুরু হলো-
এই নাকবা দিবসের উৎপত্তি ১৯৪৮ সালের ১৫ই মে শুরু হওয়া আরব-ইসরাইল যুদ্ধ থেকে। তার একদিন আগে, ১৪ই মে ইসরাইল নিজেদের ঘোষণা করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে। সেসময় ওই এলাকা ছিল ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে। ম্যান্ডেট প্যালেস্টাইন নামে তখন সেখানে এক বিশেষ ব্যবস্থা চালু ছিল। সেটি যখন প্রায় শেষ হওয়ার পথে তখনই ইসরাইলকে ঘোষণা করা হয় স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হিসেবে। যে এলাকায় ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করা হয়, ইসরাইলি বাহিনী সেখান থেকে বেশির ভাগ আরবকে বহিষ্কার করে, অথবা তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ১৯৪৮-১৯৪৯ এই দুই বছরের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। পরে ১৯৬৭ সালের জুন মাসে আরব ও ইসরাইলের মধ্যে আবারও যুদ্ধ হয় এবং সেসময় জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ড থেকে আরো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে।বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ ফিলিস্তিনি জাতিসংঘে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত। তাদের বেশির ভাগই বাস করে জর্ডান, গাজা ভূখণ্ড পশ্চিম তীর, সিরিয়া, লেবানন এবং পূর্ব জেরুজালেমে। তাদের এক-তৃতীয়াংশ বসবাস করে শরণার্থী শিবিরগুলোতে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status