শেষের পাতা

হামলা, সংঘর্ষের পর থমথমে বেরাইদ

স্টাফ রিপোর্টার

২৪ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫০ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর বাড্ডার বেরাইদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্থানীয় এমপি’র ভাগনে ফারুক হোসেনের নেতাকর্মীরা এলাকায় বিভক্ত হয়ে মহড়া দিচ্ছেন। যে কোনো মুহূর্তে আবার সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন  
সড়কে পুলিশ ও র‌্যাবের গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে ঘটনার নাটের গুরুদের ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে। গত পাঁচ বছরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, খাল ভরাট, বালু মহাল দখল, অন্যের জমিতে মাছের ঘের নির্মাণ করে দখলে রাখা, মাদক ব্যবসা, ডিশ ব্যবসা ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে অন্তত দশটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ খুনের ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করে বক্তব্য পাওয়া গেছে।

রোববার বিকালে বাড্ডার বেরাইদের ক্রাউন সিমেন্ট-এর রেডিমিক্স সাইটের সামনে স্থানীয় এমপি একেএম রহমত উল্লাহ এবং বেরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের কর্মী মো. কামরুজ্জামান নিহত হন।

ঘটনার বিষয়ে বাড্ডা পুলিশের বাড্ডা জোনের পুলিশের এসি মো. আশরাফুল কবীর মানবজমিনকে জানান, বেরাইদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। বেরাইদ ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এলাকায় লোকজনের ব্যস্ততা কমে এসেছে। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি। পুলিশ বেরাইদ ইউনিয়নে এমপি গ্রুপ ও চেয়ারম্যান গ্রুপের কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু, কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা এলাকা থেকে বিভিন্নস্থানে সটকে পড়েছেন।
বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গনি বাবুল গতকাল মানবজমিনকে জানান, এ বিরোধ একদিনে হয়নি। অনেকদিন ধরে চলে আসছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু,  কোনো সুরাহা হয়নি। ফলশ্রুতিতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড্ডা থানার আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা জানান, বেরাইদ এলাকায় আওয়ামী লীগের দুইটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। একটি এমপির ভাগনে ফারুক গ্রুপ।

অপরটি বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও বেরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের গ্রুপ। আগামী ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এ বিরোধ আরো জোরালো হয়।

ঘটনার বিষয়ে বেরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, ফারুকের সমর্থকেরা আমার নেতাকর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার আমি বিচার চাই। এ বিষয়ে এমপির ভাগনে ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status