এক্সক্লুসিভ

সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু

ভোটারদের কেন্দ্রে না যাওয়ার প্রচার করছে আওয়ামী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে:

২৪ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

বিএনপি মনোনীত কেসিসির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, সরকার চায় ভোটাররা যেন ভোট কেন্দ্রে না যায়। রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্র যেন সরকারি দলের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা অসৎ উদ্দেশে তাদেরকে ব্যবহার করতে চান। তারা যেন সেই অসৎ উদ্দেশ্য, অসৎ স্বার্থ রক্ষায় ব্যবহৃত না হন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেহারা বলছে-কি একটা নির্দেশনা তাদের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কেএমপি কমিশনারের কাছে এসব বিষয়ে তুলে ধরবো। আমরা চাই কেসিসি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এটা সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়; ফলে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে সরকার ভুল করেও হস্তক্ষেপ করবে না। অবাধ, সুষ্ঠু, নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা শঙ্কিত। গণমাধ্যম পজিটিভ সংবাদ পরিবেশন না করলে ভোটারদের শঙ্কা আরো বাড়তে পারে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কে.ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি।

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবে চেয়ারপারসনের ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) প্রতীক পেয়ে প্রচার যাত্রার শুরু থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত গণমাধ্যম কর্মীদের জনগণের পাশে থেকে অতন্দ্র  প্রহরীর ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন তিনি। প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন যদি অবাধ সুষ্ঠু না হয়; এই নির্বাচনে যদি ভোট ডাকাতি হয়, এটিই হবে সরকারের গলার কাঁটা। দেশের একটি জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় ১৬ কোটি মানুষ এবং সারাবিশ্ব। চীন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতও বলেছে একটি অংশ গ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। তাই এই নির্বাচনে যদি ভোট ডাকাতি হয়; তাহলে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। কারণ সরকার যে ভোট ডাকাত, আওয়ামী লীগ যে আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করবে সেটি প্রমাণিত হবে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোমর যে শক্ত; যেটি এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হবে। এখানে যদি ভোট ডাকাতি হয়, তাহলে বিএনপি কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না। বিএনপি কর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে ভোট ডাকাতি প্রতিরোধের। ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে সেই ডাকাতদের প্রতিরোধ করা হবে ইনশাআল্লাহ্‌। আমরা কোনোভাবেই ভোট ডাকাতি করার সুযোগ দেবো না; এমনভাবেই বিএনপি তৈরি হচ্ছে। নগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে মেয়র প্রার্থী মঞ্জু বলেছেন, নগরীর ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ফারুকের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। তার পরিবারকে হুমকি দেয়া দিয়েছে। একই বাহিনী ১০/১৫টা মোটরসাইকেল নিয়ে ৯০ দশকের সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে শাসানো হয়েছে, হুমকি দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ৩০নং ওয়ার্ডে সাবেক হুইপের ভাই দ্বারা বিএনপি নেতাকর্মীদের হাত-পা ভেঙে দেবার হুমকি দিয়েছেন। ৩১নং ওয়ার্ডে একজন দাঙ্গাবাজ ছাত্রলীগ নেতা ও তার কর্মীরা ওখানে একই হুমকি দিচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় তাদের কর্মতৎপরতা শুরু হয়েছে গত পরশুদিন রাত থেকে। ইঙ্গিত বহন করে ওই দিকে যে এসবের নির্দেশনা ময়লাপোতা মোড় থেকে আসছে। গতকাল (রোববার) যারা ফারুক এবং রাজ্জাকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল, তারা বলেছেন আমরা ময়লাপোতা মোড় থেকে এসেছি। এটি ইঙ্গিতবহ, আমরা তাদেরকে দায়ী করতে চাই না। ১৫নং ওয়ার্ডের সহসভাপতির বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে। পুলিশকে আমরা বলেছি, সন্ত্রাসীর তালিকা বানাতে। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা বানিয়ে অভিযান শুরু করেছে। এখানে ডন বাহিনী, কোন বাহিনী, বিভিন্ন বাহিনী আছে। যারা মানুষ হত্যা করেছে।
 জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, সেখানে ভোটের ফলাফল ছিনতাই হয়েছে। খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, আমীর এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, আব্দুল জলিল খান কালাম, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এসএ রহমান, মো. ফকরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এহতেশামুল হক শাওন ও শামসুজ্জামান চঞ্চল প্রমুখ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status