সৌদি জোটের হামলায় নিহত ২০ ইয়েমেনী

 ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় ২০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার এই হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ইয়েমেনের তাইজ প্রদেশের দক্ষিণ অংশে ২০ জন যাত্রীবাহী একটি গাড়িতে বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। নিহতদের মধ্যে কেবল ছয়জনের পরিচয় সনাক্ত করা গেছে। বাকিদের অবস্থা এতটাই দগ্ধ হয়েছেন যে তাদের পরিচয় স্বাভাবিকভাবে সনাক্ত করা সম্ভব নয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। খবরে বলা হয়, হামলার বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সৌদি- নেতৃত্বাধীন জোটের  এক মুখপাত্র। তবে এর বেশি কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আমরা এই খবরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে অংশ নেয় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী। ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মানসুর হাদির সরকারের পতন ঘটানোর জন্য লড়াই করা হুতি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ইয়েমেনের রাজধানী সানা আপাতত হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইয়েমেনে এর আগেও সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় আগেও বহুবার বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

তবে জোট বাহিনীর দাবি, তারা বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে হামলা চালায় না। ইয়েমেনের ইতিহাসে সবচেয়ে মানবিক সংকট সৃষ্টির পেছনে দায়ী এই প্রাণঘাতী গৃহযুদ্ধ। এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজারের অধিক মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২০ লাখের বেশি। দেশটি দুর্ভিক্ষের  দোরগোড়ায় অবস্থান করছে।   
এদিকে শনিবার ভিন্ন এক গোলাগুলির হামলায়, আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রসের (আইসিআরসি) এক সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ইয়েমেনি নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, হানা লাহৌদ নামে লেবাননের এক নাগরিক তাইজ প্রদেশে এক গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। এক বন্দুকধারী আইসিআরসি সদস্য বহনকারী এক গাড়ি উদ্দেশ্য করে গুলি চালালে এই ঘটনা ঘটে।