এক্সক্লুসিভ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনা সেল হচ্ছে

কূটনৈতিক রিপোর্টার

২৩ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন

পরিকল্পনা সেল গঠন করতে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশে বাংলাদেশের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে এ সেল গঠন করা হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক দিন ধরে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে চিঠি চালাচালির পর বিষয়টি বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে। আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে এটি অনুমোদনের জন্য উঠবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা সেল গঠনে বহু দিন ধরে চেষ্টা-তদবির চলছে। এটি প্রায় হয়েই গেছে- এমনটি দাবি করে গতকাল মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, এখন শুধু অপেক্ষা চূড়ান্ত অনুমোদনের। প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনুমোদনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করছি। সেলের ৬টি পদের অনুুমোদন চাওয়া হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, সচিব কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতো এখন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতেও একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা সেল যুক্ত হবে। যাতে একজন উপ-প্রধান, একজন সহকারী প্রধান, একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, একজন অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কের পদও যুক্ত হবে। পাশাপাশি অফিস সরঞ্জাম পাবে নবগঠিত সেলটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা সেল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি ২০১৫ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক সভার নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ওঠে। সেখানে এটি অনুমোদনও পায়। একনেকের সিদ্ধান্ত মতে পরবর্তীতে পদক্ষেপ গ্রহণ অর্থাৎ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইকোনমিক ক্যাডারের একজন উপ-প্রধান, সিনিয়র সহকারী প্রধান ও সহায়ক কর্মচারীর সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা সেল গঠন করে পদায়নের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সেই চিঠির ধারাবাহিকতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা সেল গঠন ও মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে এটি অন্তর্ভুক্তকরণের অনুমোদন দেয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এখন এটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সচিব কমিটি বরাবর পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিদেশে চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে- সরকার প্রধানের নির্দেশনা মতে, যে সব দেশে চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রয়োজন আছে সেসব দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব জমি (রিসিপ্রোকাল বা বিনিময়ে প্রাপ্তি) থাকলে সেখানে ভবন নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়; জমি না থাকলে জমি ক্রয় করে ভবন নির্মাণ বা জমিসহ ভবন কেনার ব্যবস্থা করতে হবে। ২০১৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল অর্থনৈতিক পরিষদে চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন- চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ বিষয়ক ৪টি প্রকল্প নির্মাণ চলমান আছে। আরো ১০টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। পূর্ণাঙ্গ সেল গঠিত হওয়ার পর বিদেশি নির্মাণাধীন এসব প্রকল্প সমন্বয় ও সার্বিক তত্ত্বাবধান সহজতর হবে। এতে বিদেশে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ তদারকি সহজ ও দ্রুত হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status