এক্সক্লুসিভ
কর্পোরেট ট্যাক্সে ছাড় কৃষিজাত পণ্যে কর সুবিধা দেয়া হবে -এনবিআর চেয়ারম্যান
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, আগামী বাজেটে করপোরেট ট্যাক্সে কিছুটা ছাড় দেয়া হবে। একইসঙ্গে কৃষিজাতপণ্যে কর সুবিধা দেয়ার কথাও জানান। গতকাল বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান সকাল থেকে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ), বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা), বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, এগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টার্চ অ্যান্ড ডেরিভেটিভস ম্যানুফ্যাকচারার্সসহ ১২টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যদি ছোট ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিতে চাই তাহলে কর্পোরেট ট্যাক্সে সুবিধা দেয়া যাবে না। তাই সবদিক বিবেচনা করে একটা সমন্বয়ের মধ্যদিয়ে বাজেট তৈরি করতে হবে। যাতে দেশে শিল্পায়ন হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আয় যদি না আসে তাহলে সরকার চলবে কীভাবে? আমাদের যথেষ্ট প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো জায়গায় কিছু কিছু ভ্যাট রাখতে হবে। চাইলেও সেটা বাদ দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ী কোনো কোনো খাতে ভ্যাটশূন্য করে দিতে চাচ্ছেন- এটাও হয়তো সম্ভব হবে না। তবে বর্তমান অবস্থা থেকে কিছুটা কমানো হবে। আবার অনেক জায়গায় এটা বাড়তেও পারে। মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আমাদের নজর এখন শিল্পায়নের দিকে। তবে আমরা কৃষিখাতকেও সমান গুরুত্ব দেব। তিনি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরও আগামী বাজেটে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। তিনি বলেন, বাজেটে যদি শুধু ব্যবসায়ীদের কর অব্যাহতি দেয়া হয় তাহলে সব ভ্যাট গিয়ে পড়বে গরিব মানুষের ওপর- এটা হতে পারে না। তাই ভ্যাটের আওতা বাড়াতে হবে।
প্রাক বাজেট আলোচনা বিটিএ’র চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বলেন, অনেক ট্যানারি মালিক বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা পাচ্ছেন না। এদের ক্ষেত্রে কেমিক্যালসমূহ আমদানি শুল্ক হার ৫ শতাংশের বেশি হলে কর অব্যাহতি প্রদান করার বিধান রয়েছে। এটাকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা দরকার। জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তরিত হয়েছে। এই শিল্পকে বন্ড ওয়্যার সুবিধাসহ যা যা দরকার এনবিআর নিজেরা আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ফিড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মসিউর রহমান পোল্ট্রি ফিডের পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
কাঁচামাল সয়াবিন মিল আমদানির ওপর ১০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি মওকুফ করার দাবি জানান। জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আসছে বাজেটে পোলট্রি খাতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা জানান।
এগ্রিকালচাল মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আলীমুল এহছান চৌধুরী বলেন, এগ্রিকালচাল মেশিনারি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে গণ্য না হওয়ায় ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এই শিল্পকে কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে গণ্য করার দাবি জানান। বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস এসোসিয়েশন (বাপা)’র সভাপতি এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী কৃষিশিল্পের ক্ষেত্রে করপোরেট ট্যাক্স ১৫ শতাংশ করার দাবি জানান। এছাড়া তিনি বাৎসরিক টার্নওভারের ওপর আয়কর সম্পূর্ণ অব্যাহতির দাবি জানান। এছাড়া বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন থেকে তরমুজ ও ভাঙ্গির বীজের আমদানির ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কৃষিজাত পণ্যের বীজ আমদানির ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এগ্রো বেইজড খাতকে আমরা অগ্রাধিকার দিতে চাই। তবে এসব খাত সংশ্লিষ্টদের উচিত এগ্রোবেইজড শিল্পের প্রতি বেশি নজর দেয়া। কারণ, আমাদের দেশে কর্মসংস্থান একটি বড় বিষয় আর সেটি আমাদের দেখতে হবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির পক্ষ থেকে, তৈরি বিস্কুট, পাউরুটি, বনরুটিসহ সব ধরনের বিস্কুটকে কর অব্যাহতি দেয়ার দাবি করা হয়। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এই খাতে ভ্যাট কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান সকাল থেকে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ), বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা), বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, এগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টার্চ অ্যান্ড ডেরিভেটিভস ম্যানুফ্যাকচারার্সসহ ১২টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যদি ছোট ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিতে চাই তাহলে কর্পোরেট ট্যাক্সে সুবিধা দেয়া যাবে না। তাই সবদিক বিবেচনা করে একটা সমন্বয়ের মধ্যদিয়ে বাজেট তৈরি করতে হবে। যাতে দেশে শিল্পায়ন হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আয় যদি না আসে তাহলে সরকার চলবে কীভাবে? আমাদের যথেষ্ট প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো জায়গায় কিছু কিছু ভ্যাট রাখতে হবে। চাইলেও সেটা বাদ দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ী কোনো কোনো খাতে ভ্যাটশূন্য করে দিতে চাচ্ছেন- এটাও হয়তো সম্ভব হবে না। তবে বর্তমান অবস্থা থেকে কিছুটা কমানো হবে। আবার অনেক জায়গায় এটা বাড়তেও পারে। মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আমাদের নজর এখন শিল্পায়নের দিকে। তবে আমরা কৃষিখাতকেও সমান গুরুত্ব দেব। তিনি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরও আগামী বাজেটে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। তিনি বলেন, বাজেটে যদি শুধু ব্যবসায়ীদের কর অব্যাহতি দেয়া হয় তাহলে সব ভ্যাট গিয়ে পড়বে গরিব মানুষের ওপর- এটা হতে পারে না। তাই ভ্যাটের আওতা বাড়াতে হবে।
প্রাক বাজেট আলোচনা বিটিএ’র চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বলেন, অনেক ট্যানারি মালিক বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা পাচ্ছেন না। এদের ক্ষেত্রে কেমিক্যালসমূহ আমদানি শুল্ক হার ৫ শতাংশের বেশি হলে কর অব্যাহতি প্রদান করার বিধান রয়েছে। এটাকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা দরকার। জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তরিত হয়েছে। এই শিল্পকে বন্ড ওয়্যার সুবিধাসহ যা যা দরকার এনবিআর নিজেরা আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ফিড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মসিউর রহমান পোল্ট্রি ফিডের পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
কাঁচামাল সয়াবিন মিল আমদানির ওপর ১০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি মওকুফ করার দাবি জানান। জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আসছে বাজেটে পোলট্রি খাতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা জানান।
এগ্রিকালচাল মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আলীমুল এহছান চৌধুরী বলেন, এগ্রিকালচাল মেশিনারি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে গণ্য না হওয়ায় ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এই শিল্পকে কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে গণ্য করার দাবি জানান। বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস এসোসিয়েশন (বাপা)’র সভাপতি এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী কৃষিশিল্পের ক্ষেত্রে করপোরেট ট্যাক্স ১৫ শতাংশ করার দাবি জানান। এছাড়া তিনি বাৎসরিক টার্নওভারের ওপর আয়কর সম্পূর্ণ অব্যাহতির দাবি জানান। এছাড়া বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন থেকে তরমুজ ও ভাঙ্গির বীজের আমদানির ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কৃষিজাত পণ্যের বীজ আমদানির ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এগ্রো বেইজড খাতকে আমরা অগ্রাধিকার দিতে চাই। তবে এসব খাত সংশ্লিষ্টদের উচিত এগ্রোবেইজড শিল্পের প্রতি বেশি নজর দেয়া। কারণ, আমাদের দেশে কর্মসংস্থান একটি বড় বিষয় আর সেটি আমাদের দেখতে হবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির পক্ষ থেকে, তৈরি বিস্কুট, পাউরুটি, বনরুটিসহ সব ধরনের বিস্কুটকে কর অব্যাহতি দেয়ার দাবি করা হয়। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এই খাতে ভ্যাট কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।