দেশ বিদেশ
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে ভয় পাচ্ছে সরকার-খসরু
স্টাফ রিপোর্টার
২২ এপ্রিল ২০১৮, রবিবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে সরকার ভয় পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্যই সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে। দেশের যেকোনো ধরনের দুর্যোগ উত্তরণে সেনাবাহিনীর অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। তাহলে একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে এই বাহিনীর ভূমিকা থাকলে ক্ষতি কি? আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হলে আওয়ামী লীগের সমস্যা কোথায়? কিন্তু সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়নে ভয় পাচ্ছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত ‘নাগরিক অধিকার ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারটি সরকারের কাছে এত স্পর্শকাতর হয়ে গেল কেন- তা দেশের মানুষ বুঝেছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের দুর্বলতার কারণে ভয় পাচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রতি কোনো রাজনৈতিক দলের দুর্বলতা থাকলে বুঝতে হবে তারা দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি অন্যায় করছে। একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করলে তাদের ভয় হতো না। আমীর খসরু বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকতে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন তারা উন্নয়নের কথা বলে যাচ্ছে। অধিকার কেড়ে নিয়ে যখন কোনো সরকার বারবার উন্নয়নের কথা বলতে থাকে তখন আপনাকে বুঝতে হবে এটা একটা নিশ্চিত স্বৈরাচার সরকার। যুগে যুগে এটা হয়ে আসছে। উন্নয়নের কথা বিক্রি করে স্বৈরাচাররা এভাবেই ক্ষমতা ধরে রাখে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকারি বিনিয়োগে যে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে তার টাকা চলে যাচ্ছে বিদেশে। এই টাকা সুইস ব্যাংক, লন্ডন, মালয়েশিয়া ও কানাডায় যাচ্ছে। পাচারকারীরা সেখানে বাড়ি করছে। বিশ্ব এখন ওপেন, কার বাড়ি কোথায় সব জানা যায়। এগুলো লুকানো সম্ভব নয়। পানামা পেপারসে তাদের নাম এসেছে। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো খারাপ পরিস্থিতি করে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে দুই বছর আগে, এখনো তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করছে না। কারণ এই টাকা চুরির পেছনে তাদের লোকজন জড়িত। এ ছাড়া দুর্নীতি ঢাকতে সরকার প্রবৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলে বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন মানুষের চাকরি নেই, ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে। অন্যদিকে হু-হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের মুখে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বলছে, এই খবর সত্যি নয়।
কারণ অর্থনীতির মাঠপর্যায়ের যে খবর তার সঙ্গে এই প্রবৃদ্ধির খবরের মিল নেই। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর এসএম হাসান তালুকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা, ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, সংগঠনের সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
কারণ অর্থনীতির মাঠপর্যায়ের যে খবর তার সঙ্গে এই প্রবৃদ্ধির খবরের মিল নেই। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর এসএম হাসান তালুকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা, ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, সংগঠনের সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বক্তব্য দেন।