দেশ বিদেশ
রানা প্লাজা নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠানের সমালোচনায় বিজিএমইএ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২২ এপ্রিল ২০১৮, রবিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, রানা প্লাজার দুর্ঘটনা নিয়ে এখনো প্রপাগান্ডা চলছে। একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বিজিএমইএ নানা রকম উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। তবে এই কাজের আন্তরিকতাকে খাটো করে দেখার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুযোগ পেলেই বিশেষ মহল, বিশেষ প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ’র কর্মকাণ্ডকে সমালোচনাবিদ্ধ করছে। গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। তবে শিল্পকে নিয়ে যেকোনো নেতিবাচক প্রচারণা বা কর্মকাণ্ড হলে পোশাক শিল্পের ক্ষতির চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শ্রমিকরা। এটা আমরা চাই না। গতকাল বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৫ বছর’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংগঠনটির সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছিরসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পোশাক শিল্প নিয়ে প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কিছু সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বিষয়ে না জেনে প্রতিবেদন দিচ্ছে, যা পোশাক খাতের জন্য ক্ষতিকর। এসব প্রতিবেদনের ধিক্কার ও নিন্দা জানাই। অনেক এনজিও এবং সুশীল সমাজকে বলবো, প্লিজ না জেনে কথা বলবেন না। কথা বললে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বহির্বিশ্বে আমাদের কাজের স্বীকৃতি পাচ্ছি। গত ক’দিন আগে নেদারল্যান্ডসে রানা প্লাজার ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শিল্প যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। অথচ সম্প্রতি আমরা দেখেছি পোশাক শিল্পের সঙ্গে কোটি লোকের জীবন-জীবিকা জড়িত হলেও, টেলিফোনের মাধ্যমে এ শিল্পের মাত্র ২০০ জন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে শিল্পের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হয়নি। তিনি সেই গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করে বলেন, গবেষণা করে যাই পান না কেন, সেটা নিয়ে বিজিএমইএ’র সঙ্গে যাচাই-বাছাই করুন। প্রয়োজনে বিজিএমইএ আপনাদেরকে গাজীপুরে, আশুলিয়ায় আমাদের কারখানাগুলোতে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, যেকোন দুর্ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আর দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা আরো অনাকাঙ্ক্ষিত। দুর্ঘটনা শুধু আমাদের দেশেই ঘটে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ঘটে থাকে। পৃথিবীতে এতো দুর্ঘটনা হচ্ছে, অথচ রানা প্লাজা দুর্ঘটনার বর্ষপূর্তি হলেই এটা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। ওই দুর্ঘটনাগুলো নিয়ে এতো বেশি প্রপাগান্ডা হয়নি, যেভাবে রানা প্লাজা নিয়ে এখনো হচ্ছে। তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের উন্নয়নে এগুলো বন্ধ করা দরকার।
সভাপতি বলেন, বিশ্ব পোশাক বাজারে বাংলাদেশের শেয়ার মাত্র প্রায় ৬ শতাংশ। এই শেয়ার আরো বাড়ানোর সুযোগ আছে। এজন্য শ্রমিক সংগঠন, এনজিও, সুশীল সমাজ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা পেলে এ শিল্প আরো বহুদূর যেতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পোশাক শিল্প ৮০ ভাগ অবদান রাখছে। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এ শিল্প প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আগামী দিনে এ শিল্পে আরো ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব, যদি সবাই শিল্পকে সহযোগিতা করেন।
তিনি বলেন, রানা প্লাজায় যারা আহত হয়েছে, তাদের জন্য চাকরির দরজা খোলা আছে। আমাদের কাছে এলে চাকরি দেয়া হবে। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত, নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের মাঝে ২৮০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের পরিবেশ অনেক নিরাপদ বলে দাবি করেছেন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাক খাতে নিরাপত্তার রোলমডেল। আজ আমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত সেইফ এবং ট্রান্সপারেন্ট।
২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৮ তলা রানা প্লাজা ভেঙে পড়লে শিল্পক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় নিহত হন এক হাজার ১৩৫ জন, আহত হন আরো এক হাজারের বেশি শ্রমিক যারা ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
পোশাক শিল্প নিয়ে প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কিছু সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বিষয়ে না জেনে প্রতিবেদন দিচ্ছে, যা পোশাক খাতের জন্য ক্ষতিকর। এসব প্রতিবেদনের ধিক্কার ও নিন্দা জানাই। অনেক এনজিও এবং সুশীল সমাজকে বলবো, প্লিজ না জেনে কথা বলবেন না। কথা বললে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বহির্বিশ্বে আমাদের কাজের স্বীকৃতি পাচ্ছি। গত ক’দিন আগে নেদারল্যান্ডসে রানা প্লাজার ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শিল্প যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। অথচ সম্প্রতি আমরা দেখেছি পোশাক শিল্পের সঙ্গে কোটি লোকের জীবন-জীবিকা জড়িত হলেও, টেলিফোনের মাধ্যমে এ শিল্পের মাত্র ২০০ জন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে শিল্পের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হয়নি। তিনি সেই গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করে বলেন, গবেষণা করে যাই পান না কেন, সেটা নিয়ে বিজিএমইএ’র সঙ্গে যাচাই-বাছাই করুন। প্রয়োজনে বিজিএমইএ আপনাদেরকে গাজীপুরে, আশুলিয়ায় আমাদের কারখানাগুলোতে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, যেকোন দুর্ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আর দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা আরো অনাকাঙ্ক্ষিত। দুর্ঘটনা শুধু আমাদের দেশেই ঘটে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ঘটে থাকে। পৃথিবীতে এতো দুর্ঘটনা হচ্ছে, অথচ রানা প্লাজা দুর্ঘটনার বর্ষপূর্তি হলেই এটা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। ওই দুর্ঘটনাগুলো নিয়ে এতো বেশি প্রপাগান্ডা হয়নি, যেভাবে রানা প্লাজা নিয়ে এখনো হচ্ছে। তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের উন্নয়নে এগুলো বন্ধ করা দরকার।
সভাপতি বলেন, বিশ্ব পোশাক বাজারে বাংলাদেশের শেয়ার মাত্র প্রায় ৬ শতাংশ। এই শেয়ার আরো বাড়ানোর সুযোগ আছে। এজন্য শ্রমিক সংগঠন, এনজিও, সুশীল সমাজ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা পেলে এ শিল্প আরো বহুদূর যেতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পোশাক শিল্প ৮০ ভাগ অবদান রাখছে। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এ শিল্প প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আগামী দিনে এ শিল্পে আরো ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব, যদি সবাই শিল্পকে সহযোগিতা করেন।
তিনি বলেন, রানা প্লাজায় যারা আহত হয়েছে, তাদের জন্য চাকরির দরজা খোলা আছে। আমাদের কাছে এলে চাকরি দেয়া হবে। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত, নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের মাঝে ২৮০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের পরিবেশ অনেক নিরাপদ বলে দাবি করেছেন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাক খাতে নিরাপত্তার রোলমডেল। আজ আমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত সেইফ এবং ট্রান্সপারেন্ট।
২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৮ তলা রানা প্লাজা ভেঙে পড়লে শিল্পক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় নিহত হন এক হাজার ১৩৫ জন, আহত হন আরো এক হাজারের বেশি শ্রমিক যারা ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।