বাংলারজমিন
বড়লেখায় সাক্ষীর ওপর হামলা
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২২ এপ্রিল ২০১৮, রবিবার, ৮:২৮ পূর্বাহ্ন
বড়লেখা হাল্লা বহুমুখী সমবায় সমিতি লি:-এর নামীয় বিলে মাছ ও নৌকা চুরির অভিযোগে মামলা করায় সাক্ষীর ওপর হামলা হয়েছে। প্রাণ ভয়ে বাদী ও সাক্ষীপক্ষের লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ও হাল্লা বহুমুখী সমবায় সমিতি লি:-এর সাধারণ সম্পাদক সুলেমান আহমদের মামলা সূত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরে ক্রেল প্রকল্পের মাধ্যমে কৈয়ারকোনা বিল অভয়াশ্রম বদ্ধ জলমহালটি সমিতির লোকজন রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। মামলার বিবাদী তালিমপুর ইউনিয়নের হাল্লা গ্রামের একসময়ের নামকরা কুখ্যাত ডাকাত রাজা মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (৪৫), বাবুল মিয়া (৪৮), রাজা মিয়ার নাতী আবুল কালাম (২২) এবং হাল্লা গ্রামের আরজমন্দ আলীর ছেলে হুসেন আহমদ (৩৫), লাল মিয়ার ছেলে ছাদিক আহমদ (২৫), আলাউদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া (৫৫) ও জুনেদ মিয়া (৩৫) সহ সংঘবদ্ধরা দীর্ঘদিন থেকে রাতের আঁধারে বিলের মাছ চুরি করে আসছে এবং বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। প্রতি রাতে মাছ চুরি যওয়া টের পেয়ে সমিতি কর্তৃপক্ষ পাহারাদার নিয়োগ করে। পাহারাদার দেওয়ার পর মাছ চুরি করতে না পেরে, সমিতির মাছ ধরতে ব্যবহৃত ৬০ হাজার টাকা মূল্যের নৌকাটি চুরি করে যায় এ চক্রটি। এ ব্যাপারে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলেমান আহমদ তাদের অভিযুক্ত করে বড়লেখা থানায় মামলা করেন। তারা আসামি হয়েও থামেনি। মামলার সাক্ষী বিলের পাহারাদার রিয়াজ উদ্দিনের ওপর বড়লেখা শহরে
যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা চালায় গুরুতর আহত অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে বাদল গংদের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় আরেকটি মামলা করেন। এ ব্যাপারে এলাকার আক্কেল আলী, মতিউর রহমানসহ অনেকেই জানান, কুখ্যাত রাজা ডাকাতের ছেলেদের অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদ করতে গেলে তাহাদের ওপর হামলা এমনকি কিছুদিনের মধ্যে দেখা যায় এর বাড়ি চুরি হয়, না হয় ডাকাতিসহ তাহাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় প্রতিবাদকারীদের। এ ব্যাপারে মামলা বিবাদী বাদল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রিপোর্ট করলে বুঝেশুনে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে করবেন। স্থানীয় তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস জানান, চুরি যাওয়া নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে, সমিতির করা মামলার সাক্ষীর ওপর হামলার খবর আমি পেয়েছি। তাদের এলাকায় লোকজন কম হলেও অপকর্মের কথাবার্তা শুনতে শুনতে কানভারি হয়ে গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ উদ্দিন জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তারের জন্য দু’দফা অভিযান চালানো হয়েছে, আরো অভিযান অব্যাহত আছে।
যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা চালায় গুরুতর আহত অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে বাদল গংদের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় আরেকটি মামলা করেন। এ ব্যাপারে এলাকার আক্কেল আলী, মতিউর রহমানসহ অনেকেই জানান, কুখ্যাত রাজা ডাকাতের ছেলেদের অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদ করতে গেলে তাহাদের ওপর হামলা এমনকি কিছুদিনের মধ্যে দেখা যায় এর বাড়ি চুরি হয়, না হয় ডাকাতিসহ তাহাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় প্রতিবাদকারীদের। এ ব্যাপারে মামলা বিবাদী বাদল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রিপোর্ট করলে বুঝেশুনে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে করবেন। স্থানীয় তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস জানান, চুরি যাওয়া নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে, সমিতির করা মামলার সাক্ষীর ওপর হামলার খবর আমি পেয়েছি। তাদের এলাকায় লোকজন কম হলেও অপকর্মের কথাবার্তা শুনতে শুনতে কানভারি হয়ে গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ উদ্দিন জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তারের জন্য দু’দফা অভিযান চালানো হয়েছে, আরো অভিযান অব্যাহত আছে।