লক্ষ্মীপুরে হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী

যৌতুকের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ জোসনা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুজনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে গৃহবধূর লাশ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী সুজনসহ অন্যরা। সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের আত্মীয় স্বজন, চিকিৎসক ও পুলিশ জানায়, বিয়ের পর থেকে গৃহবধূ জোসনা বেগম ও তার পরিবারকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় স্বামী সুজনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে প্রায় জোসনা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী সুজন। যৌতুকের জন্য ঘটনার আগের দিন ও রাতে স্বামী সুজনসহ অন্যরা একাধিকবার জোসনা বেগমকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। একপর্যায়ে রাতের কোনো এক সময়ে জোসনা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে জোসনা বেগম বিষপানে আত্মহত্যা করছে বলে এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালায়। এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য সকালে নিহতের লাশ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বামী সুজন ও পরিবারের অন্যরা। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জোসনার লাশ রেখে পালিয়ে যায় সুজন ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী। এদিকে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে জোসনা বেগম নামে মৃত এক গৃহবধূকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে তার স্বামী সুজন। পরে হাসপাতালে তার লাশ রেখে পালিয়ে যান তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।