বাংলারজমিন
ব্রহ্মপুত্র তীর রক্ষা প্রকল্পে ধস, হুমকির মুখে জনপদ
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২২ এপ্রিল ২০১৮, রবিবার, ৮:১৮ পূর্বাহ্ন
চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে ফের ধস দেখা দিয়েছে। রানীগঞ্জ কাঁচকোল বাঁধ এলাকাসহ প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে ধসের পর ধসের ঘটনায় হুমকির মুখে পড়েছে জনপদ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে চিলমারীবাসী। চলতি মৌসুমে বাঁধ রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেয়ায় বর্ষা মৌসুম ও বন্যার সময়কাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। নিয়ম না মেনেই ব্লক তৈরি অপরিকল্পিতভাবে পিচিং ও ব্লক ফেলানোর ফলেই বারবার একই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ধস দেখা দিচ্ছে কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন ঠেকাতে ফেজ-১ ও ফেজ-২ মিলে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী কাঁচকোল, রমনা ও উলিপুর উপজেলার অনন্তপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষা প্রকল্প কাজ শুরু করে সংশিষ্ট দপ্তর। কিন্তু শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেয় সংশ্লিষ্টরা। ফলে ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা দেয় ধসের। আর বারবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। বারবার বিভিন্ন এলাকায় ধস দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষ থাকেন নিশ্চুপ। দেখান নানান অজুহাত। তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি আর অজুহাতের ফলে অবারো উপজেলার রানীগঞ্জ দক্ষিণ খামার এলাকার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় গত বুধবার সকালে ধসে যায় প্রায় ৫০ ফিট এলাকার দেবে যায় পিচিং ও ব্লক। ফলে উক্ত এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। এতে উপজেলা রক্ষার গোটা বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। একের পর এক জায়গায় ধসের সৃষ্টি হওয়ায় নিম্নমানের কাজকে দায়ী করছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী আরো বলেন, নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ায় বারবার ধস ও দেবে যাওয়ায় ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম (বিএসসি) বলেন, কাজগুলোতে ব্লক তৈরি, ডাম্পিং, পিচিং কোনোটিই ঠিকমতো হয়নি। ফলে একের পর এক জায়গায় ধস দেখা দিচ্ছে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পাউবোকে দায়ী করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এএসএম আলহাজ নজরুল ইসলাম (কমান্ডার)সহ ধস এলাকার মানুষজন জানান, ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষা প্রকল্প ও বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। সিসি ব্লক তৈরি, জিও টেক্সটাইল ফিল্টার ও ব্লক বসানোয় সরকারি নিয়মাবলী মানা হয়নি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম কাজে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগামীতে আর যেন কোনো সমস্যা না হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন ঠেকাতে ফেজ-১ ও ফেজ-২ মিলে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী কাঁচকোল, রমনা ও উলিপুর উপজেলার অনন্তপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষা প্রকল্প কাজ শুরু করে সংশিষ্ট দপ্তর। কিন্তু শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেয় সংশ্লিষ্টরা। ফলে ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা দেয় ধসের। আর বারবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। বারবার বিভিন্ন এলাকায় ধস দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষ থাকেন নিশ্চুপ। দেখান নানান অজুহাত। তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি আর অজুহাতের ফলে অবারো উপজেলার রানীগঞ্জ দক্ষিণ খামার এলাকার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় গত বুধবার সকালে ধসে যায় প্রায় ৫০ ফিট এলাকার দেবে যায় পিচিং ও ব্লক। ফলে উক্ত এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। এতে উপজেলা রক্ষার গোটা বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। একের পর এক জায়গায় ধসের সৃষ্টি হওয়ায় নিম্নমানের কাজকে দায়ী করছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী আরো বলেন, নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ায় বারবার ধস ও দেবে যাওয়ায় ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম (বিএসসি) বলেন, কাজগুলোতে ব্লক তৈরি, ডাম্পিং, পিচিং কোনোটিই ঠিকমতো হয়নি। ফলে একের পর এক জায়গায় ধস দেখা দিচ্ছে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পাউবোকে দায়ী করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এএসএম আলহাজ নজরুল ইসলাম (কমান্ডার)সহ ধস এলাকার মানুষজন জানান, ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষা প্রকল্প ও বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। সিসি ব্লক তৈরি, জিও টেক্সটাইল ফিল্টার ও ব্লক বসানোয় সরকারি নিয়মাবলী মানা হয়নি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম কাজে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগামীতে আর যেন কোনো সমস্যা না হয়।