দেশ বিদেশ
ইমামকে পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দিলো ছাত্রলীগ নেতা
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২১ এপ্রিল ২০১৮, শনিবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
মির্জাগঞ্জে মো. গফফর (৩০) নামে এক ইমামকে গাছের সঙ্গে বেঁধে, পিটিয়ে মল খাইয়ে ও মাথা ন্যাড়া করে দিলো মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রাসেল (২৮)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে মির্জাগঞ্জ থানার এসআই সাইদুল ইসলাম ও এএসআই বাবুল ইমামকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে মো. আনসার (৩৪), মো. জলিল (৪০) নামে এ দুজনকে গ্রেপ্তার করে; এসময় রাসেল পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা পটুয়াখালীর ছোট বিঘাই গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে ও রাসেলের আত্মীয়। পরে গফফরকে চিকিৎসার জন্য মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় ইমাম গফফরের বড় ভাই মো. রাজ্জাক বাদী হয়ে আনসার, জলিল ও রাসেলসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। জানা যায়, গফফর উপজেলার কাঁকড়াবুনিয়ার সোনাপুরা গ্রামের লতিফ হাওলাদারের ছেলে ও বেতাগী উপজেলার মিয়ার হাট গ্রামের একটি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব। নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে গফফর বলেন, আমি ইমাম ও তার পাশাপাশি বিভিন্ন হাদিস-কোরআনের আলোকে দোয়া-তদবির দিয়ে থাকি। ওই দিন মির্জাগঞ্জের কাওসার নামে একজন (০১৭১৪৬১৬১৮৫) নম্বর থেকে ফোন করে জানায়, আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে অসুস্থ, তাড়াতাড়ি চলে আসুন। খবর পেয়ে আমি মির্জাগঞ্জ কপালভেড়া পর্যন্ত গেলে রাসেল একটি মোটর সাইকেলযোগে এসে জোর করে চরের দিকে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে বলে, ‘তুই কুফরি দিস?’ সঙ্গে সঙ্গে রাসেলসহ ৪-৫ জন পাইপ দিয়ে আমাকে পিটাতে থাকে এবং সঙ্গে সঙ্গে মাথা ন্যাড়া করে ও মল খাইয়ে দেয়। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।