দেশ বিদেশ
হালদায় মা-মাছ ডিম ছেড়েছে চলছে আহরণ উৎসব
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
২১ এপ্রিল ২০১৮, শনিবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মিঠা পানির মা মাছ। দুই দিনের ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পর বৃহসপতিবার বিকাল থেকে হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছাড়া শুরু করে কার্প জাতীয় মাছ।
এরপর জেলেরা বড় আকারে ডিম সংগ্রহের আশায় অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর রাত ২টার পর শেষ হয় সেই অপেক্ষার পালা। আর ভোর থেকে হালদা পাড়ের মানুষের মধ্যে শুরু হয় ডিম সংগ্রহ উৎসব।
এবার ডিম ছাড়ার পরিমাণ গত ৬-৭ বছরের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ বেশি বলে জানিয়েছেন ডিম আহরণে জড়িত সংশ্লিষ্ট লোকজন। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর চৈত্র-বৈশাখ মাসে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় হালদা নদীতে ঢলের সৃষ্টি হয়। এ সময় মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়ে। এবারো গত বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে নমুনা ডিম ছাড়তে শুরু করে মা মাছ। হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা মাছুয়াঘোনা হ্যাচারির মাহবুব আলম বলেন, নমুনা ডিম হচ্ছে বড় আকারে ডিম ছাড়ার পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই মা মাছ ডিম ছাড়ে। এবার ডিমের পরিমাণ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের হ্যাচারিতে নমুনা ডিমই সংগ্রহ করেছি প্রায় ১০ কেজি। রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদীর আজিমের ঘাট থেকে রামদাশ হাট এলাকায় বেশি পরিমাণে ডিম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি। হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল আলম বলেন, ডিম আহরণকারী এবং পরিচর্যাকারীদের আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছি। তিনি বলেন, প্রাকৃতিকভাবে ছাড়া ডিম সংগ্রহের পর জেলেরা রাখছেন মাটির বড় গর্তে। গর্তে পানি দিয়ে রাখা হচ্ছে ডিম। ডিম থেকে রেণু উৎপাদন হবে। রেণু থেকে পোনা আসবে। তখন আলাদা করা যাবে রুই, কাতলা, মৃগেল কালাবাউশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা। প্রতিকেজি রেণুতে ৪-৫ লাখ পর্যন্ত পোনা জন্মায়। হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, এ পর্যন্ত যা দেখলাম ডিমের পরিমাণ অনেক বেশি। অর্থাৎ অনেক কার্প জাতীয় মাছ ডিম ছাড়ার জন্য হালদায় এসেছিল। এটা গত ৬-৭ বছরের মধ্যে রেকর্ড। তিনি বলেন, সরকার এবার হালদায় বালি উত্তোলন বন্ধ করেছে। মা মাছ নিধন বন্ধ করেছে। এর একটা সুফল পাওয়া গেছে।
এরপর জেলেরা বড় আকারে ডিম সংগ্রহের আশায় অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর রাত ২টার পর শেষ হয় সেই অপেক্ষার পালা। আর ভোর থেকে হালদা পাড়ের মানুষের মধ্যে শুরু হয় ডিম সংগ্রহ উৎসব।
এবার ডিম ছাড়ার পরিমাণ গত ৬-৭ বছরের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ বেশি বলে জানিয়েছেন ডিম আহরণে জড়িত সংশ্লিষ্ট লোকজন। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর চৈত্র-বৈশাখ মাসে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় হালদা নদীতে ঢলের সৃষ্টি হয়। এ সময় মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়ে। এবারো গত বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে নমুনা ডিম ছাড়তে শুরু করে মা মাছ। হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা মাছুয়াঘোনা হ্যাচারির মাহবুব আলম বলেন, নমুনা ডিম হচ্ছে বড় আকারে ডিম ছাড়ার পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই মা মাছ ডিম ছাড়ে। এবার ডিমের পরিমাণ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের হ্যাচারিতে নমুনা ডিমই সংগ্রহ করেছি প্রায় ১০ কেজি। রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদীর আজিমের ঘাট থেকে রামদাশ হাট এলাকায় বেশি পরিমাণে ডিম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি। হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল আলম বলেন, ডিম আহরণকারী এবং পরিচর্যাকারীদের আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছি। তিনি বলেন, প্রাকৃতিকভাবে ছাড়া ডিম সংগ্রহের পর জেলেরা রাখছেন মাটির বড় গর্তে। গর্তে পানি দিয়ে রাখা হচ্ছে ডিম। ডিম থেকে রেণু উৎপাদন হবে। রেণু থেকে পোনা আসবে। তখন আলাদা করা যাবে রুই, কাতলা, মৃগেল কালাবাউশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা। প্রতিকেজি রেণুতে ৪-৫ লাখ পর্যন্ত পোনা জন্মায়। হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, এ পর্যন্ত যা দেখলাম ডিমের পরিমাণ অনেক বেশি। অর্থাৎ অনেক কার্প জাতীয় মাছ ডিম ছাড়ার জন্য হালদায় এসেছিল। এটা গত ৬-৭ বছরের মধ্যে রেকর্ড। তিনি বলেন, সরকার এবার হালদায় বালি উত্তোলন বন্ধ করেছে। মা মাছ নিধন বন্ধ করেছে। এর একটা সুফল পাওয়া গেছে।