বাংলারজমিন
হোসেনপুরে গরুচোরকে গণপিটুনি
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২১ এপ্রিল ২০১৮, শনিবার, ৮:০৪ পূর্বাহ্ন
হোসেনপুর গরুসহ মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে এলাকাবাসী হাতে-নাতে ধরে গণপিটুিন দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সে উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের হলিমা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চরপিতলগঞ্জ এলাকা থেকে সাহেবের চর গ্রামের ছন্দু মিয়া (৩৬) এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে হাতেনাতে আটক করে। পরে শুক্রবার সকালে হোসেনপুর থানার এএসআই জাহাঙ্গীর আলম জনতার রোষানল থেকে শফিকুলকে বাঁচিয়ে গরুসহ থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গরুর মালিক ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মো. আবদুল বারিক বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ দিকে গরুসহ চোর ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত গরু চুরি হয়ে যাওয়া গরুর মালিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ রকম গরুর মালিকগণ জানান, গরু চুরি হলেও থানায় এলে পুলিশ চুরির অভিযোগ না নিয়ে খোঁজাখুজির কথা বলে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এতে এলাকায় গরু চুরির হিড়িক পড়ে গেছে। চুরি যাওয়া গরুর মালিকদের মধ্যে চর পিতলগঞ্জ গ্রামের নুরুল ইসলামের ৩টি গরু, আমিনুল ইসলামের ১টি, হবি মিয়া ১টি আবদুল হাইয়ের ২টি, গড়মাছুয়া গ্রামের কৃষক ছন্দু খার ১টি, পদুর গাথি গ্রামের লিটন মিয়ার ১টি, আবদুল কাদিরের ১টি, জুয়েল মিয়ার ২টি ষাঁড় গরু, হলিমা গ্রামের আবদুল্লাহর ৩টি, তারাপাশা গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ৩টি, তাঁর ভাই হেলাল মিয়ার ১টি, গফরগাঁও উপজেলার উস্তী ইউনিয়নের কলুরগাঁও গ্রামের সুমন মিয়া ৩টি গরুসহ শতাধিক কৃষক তাঁদের গরু চুরি হয়ে গেলেও না পাওয়ার অভিযোগ করেন।
গরু চোর শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত এ পেশায় নিয়োজিত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, গত বৃহস্পতিবার চিহ্নিত গরু চোর ও ডাকাতি মামলায় কারাবরণ করে জামিনে মুক্ত গড়মাছুয়া গ্রামের আবদুর রশিদ ডাকাত, সাহেবের চর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিযদের সদস্য সাইদ ডাকাত ও চর বিশ্বনাথের ভুলু মিয়ার সহায়তায় সে দীর্ঘদিন যাবৎ গরু চুরি করে আসছে। হোসেনপুর থানার ওসি মো. আবুল হোসেন জানান, এ চক্রের সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
গরু চোর শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত এ পেশায় নিয়োজিত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, গত বৃহস্পতিবার চিহ্নিত গরু চোর ও ডাকাতি মামলায় কারাবরণ করে জামিনে মুক্ত গড়মাছুয়া গ্রামের আবদুর রশিদ ডাকাত, সাহেবের চর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিযদের সদস্য সাইদ ডাকাত ও চর বিশ্বনাথের ভুলু মিয়ার সহায়তায় সে দীর্ঘদিন যাবৎ গরু চুরি করে আসছে। হোসেনপুর থানার ওসি মো. আবুল হোসেন জানান, এ চক্রের সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।