বাংলারজমিন
অফিসের অভাবে খোলা আকাশের নিচে দাপ্তরিক কাজ
এমএ মাজিদ, চলনবিল (সিরাজগঞ্জ) থেকে:
২১ এপ্রিল ২০১৮, শনিবার, ৮:০৪ পূর্বাহ্ন
কার্যক্রম আছে অফিস নেই এমন চিত্র সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা বন বিভাগের। উপজেলা পরিষদের সরকারি ১৭টি দপ্তরের মধ্যে বন বিভাগ গুরত্বপূর্ণ একটি দপ্তর। দপ্তরটির কার্যক্রম চলছে পুরোদমে অথচ অফিস নেই। দাপ্তরিক সব কাজ চলছে খোলা আকাশের নিচে। আর প্রতিকূল আবহাওয়ায় কাজ চলে উপজেলা বন কর্মকর্তার বাড়িতে। অফিসের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও ফাইল সংরক্ষিত থাকে ওই বাড়িতেই। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছে তাড়াশবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলা পরিষদের সরকারি ১৭টি দপ্তরের মধ্যে উপজেলা বন বিভাগ অন্যতম দপ্তর। বাকি ১৬টি দপ্তরের উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অফিস থাকলেও উপজেলা বন বিভাগের অফিস নেই। দপ্তরটির কার্যক্রম চলছে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ১ কি.মি. পূর্বে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের ১টি ভাঙা ঘরে। তাও আবার ছাউনি নেই। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, চেয়ার টেবিল নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে দাপ্তরিক কাজ করছেন উপজেলা বন কর্মকর্তা। পাশে বসে তাকে কাজে সহযোগিতা করছেন, বাগান মালি। মালি জয়নাল আবেদিন বলেন, অফিস ঘর ভাঙা জরাজীর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী কিছু দিন আগে ঝড়ে ঘরের ছাউনি উড়ে যায়। সেই থেকেই খোলা আকাশের নিচে অফিসের কার্যক্রম চলে আসছে। তিনি আরো বলেন, একটু বৃষ্টি নামলেই সব কিছু ভিজে যায়। আবার প্রচণ্ড রোদে অফিস করতে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে যাই। এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টর) মো. মুসলেন উদ্দিন বস জানান, অফিস ঘর না থাকায় খোলা আকাশের নিচে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে এবং রাস্তা ঘাটে ও চায়ের স্টলে বসে জনগণকে বন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছি। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা পরিষদে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব জিতু বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। আর সেই দেশে একটি দপ্তরের অফিস থাকবে না তা মেনে নেয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা বিষয়টি আমাদের অবহিত করেনি, এর ব্যর্থতা তাদেরই। আমাদের জানালে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।