বাংলারজমিন
পলাশে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা
পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
২১ এপ্রিল ২০১৮, শনিবার, ৮:০১ পূর্বাহ্ন
যৌতুকের টাকা না পেয়ে তানজিনা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগুনে তানজিনার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান। গুরুতর অবস্থায় তাকে নরসিংদীর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের সান্তানপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় তানজিনা আক্তারের স্বামী ওমর সানি (২৫) ও শ্বশুর শিপন মিয়া (৪৫)কে আটক করে থানা পুলিশ। ওমর সানি সান্তানপাড়ার ক্যাপিটাল পেপার মিলের একজন শ্রমিক। তানজিনা আক্তারের মা রাবেয়া বেগম জানান, যৌতুকের টাকার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তানজিনার ওপর নির্যাতন করত। নির্যাতনের হাত থেকে মেয়েকে রক্ষায় তারা ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। সম্প্রতি আবারও ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য দিলেও তার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে। এবার তাদের দাবি করা টাকা দিতে না পারায় বৃহস্পতিবার রাতে তানজিনার স্বামী ওমর সানি, শ্বশুর শিপন মিয়া, শাশুড়ি শাহানাজ বেগম ও ফুফুশাশুড়ি রুজিনা আক্তার তাকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে তানজিনা অজ্ঞান হয়ে গেলে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তানজিনাকে উদ্ধার করে নরসিংদীর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুই বছর আগে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ঘাগড়া গ্রামের মৃত সবুজ মিয়ার মেয়ে তানজিনার সঙ্গে ডাঙ্গা ইউনিয়নের সান্তানপাড়া গ্রামের শিপন মিয়ার ছেলে ওমর সানির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে ব্যবসা করার জন্য টাকা দাবি করে তানজিনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়ের সুখের জন্য ঋণ করে ৫০ হাজার টাকাও দেন তানজিনার মা। সংসারজীবনে ৯ মাসের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের।
সম্প্রতি ২ লাখ টাকা যৌতুক চাইলে তানজিনার পরিবার টাকা দিতে না পারায় মেয়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে তারা। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, অভিযুক্ত স্বামী ওমর সানি ও শ্বশুর শিপন মিয়াকে গতকাল ভোর রাতে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্যাতিত গৃহবধূর মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে তানজিনার স্বামী ও শ্বশুরসহ চারজনের নামে একটি মামলা করেছেন। অন্য আসামিদের আটকে অভিযান চলছে।
সম্প্রতি ২ লাখ টাকা যৌতুক চাইলে তানজিনার পরিবার টাকা দিতে না পারায় মেয়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে তারা। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, অভিযুক্ত স্বামী ওমর সানি ও শ্বশুর শিপন মিয়াকে গতকাল ভোর রাতে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্যাতিত গৃহবধূর মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে তানজিনার স্বামী ও শ্বশুরসহ চারজনের নামে একটি মামলা করেছেন। অন্য আসামিদের আটকে অভিযান চলছে।