দেশ বিদেশ

‘সব ধরনের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করছে দুদক’

স্টাফ রিপোর্টার

২০ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন

ঘরে-বাইরে সব ধরনের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সকল সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালকগণ তাদের বিগত বছরের সব কার্যক্রম কমিশনের সামনে উপস্থাপন করেন। ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদককে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে এবং কর্মসম্পাদনেও এর প্রতিফলন থাকতে হবে। তবেই এই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হতে পারে। প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্তের গুণগতমান এমন হতে হবে যাতে প্রতিটি মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের শতভাগ সাজা নিশ্চিত করা যায়। কথিত পলাতক আসামিদের পরিসংখ্যান দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনার বিভাগের দুদকের মামলার অনেক আসামিই আইন-আদালতে আত্মসমর্পণ না করে, আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিভাবে মুক্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে? আপনাদের দায়িত্ব কী? আপনাদের পেছনে রাষ্ট্রের ব্যয়িত অর্থের মূল্য থাকলে হয়তো এভাবে আসামিরা ঘুরে বেড়াতে পারতো না। যেকোনো বিষয়ে কমিশন সর্বোচ্চ দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে তা বাস্তবায়নে এত বিলম্ব কেন? তিনি আরো বলেন, এখন থেকে মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে এজাহারের কপি কমিশনের আইন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বরাবর পাঠাতে হবে, যাতে কমিশন মামলা দায়ের পরবর্তী সব ধরনের আইনানুগ প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে মনিটরিং করতে পারে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিশনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। এ প্রতারক চক্রের সদস্যরা কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে। তাই এ বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়েও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সভায় দুদকের গোয়েন্দা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংগৃহীত একটি গোয়েন্দা তথ্য সবাইকে অবহিত করেন। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, এখন থেকে প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্ত নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্তে প্রতিটি আসামির ফৌজদারি অপরাধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরূপণ করতে হবে। একটি লোককেও হয়রানির জন্য দুদকের মামলার আসামি করা যাবে না। চূড়ান্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের সময় নথিতে এজাহারের কপি সংযুক্ত করতে হবে। নির্ধারিত ছক অনুসারে অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে। পর্যালোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক (আইন) মো. মঈদুল ইসলাম, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. আতিকুর রহমান খান, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মো. জয়নুল বারী, পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status