বাংলারজমিন
‘শিশুসন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি’
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। প্রাণ ভয়ে দুই শিশুসন্তানসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছি। গতকাল সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিহত পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী খালেদা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমার স্বামী হত্যার প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলো। পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলার প্রধান আসামি রেজাউল করিম (পুলিশ পরিদর্শক, সশস্ত্র মিরপুর জোন), পুলিশ সদস্য হৃদয় ও সোহেলসহ অন্যান্য এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার না করে কালক্ষেপণ করছে। হত্যা মামলার আসামি হয়েও তারা নিজ কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে অন্য পুলিশকে কীভাবে হত্যা করতে পারে? অপরদিকে আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমার দুই শিশুসন্তানসহ প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
উল্লেখ্য, পাওনা টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্য আনোয়ারকে (ক/১২৭৪৩) ধরে নিয়ে বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিল। ২৬শে মার্চ সকালে স্থানীয় এক মেস থেকে আনোয়ারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী খালেদা খাতুন বাদী হয়ে উল্লিখিত পুলিশ অফিসার রেজাউল করিম, হৃদয় ও সোহেলসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ২৭শে মার্চ আমিনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৯। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত আনোয়ারের বৃদ্ধ বাবা ওহাব প্রাং, চাচাতো ভাই রেজাউল করিম, আনোয়ারের দুই শিশুসন্তান চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মিতুল (৮) ও মায়শা (৪)। সংবাদ সম্মেলনে তার শিশুসন্তান নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং স্বামী হত্যার সুবিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, পাওনা টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্য আনোয়ারকে (ক/১২৭৪৩) ধরে নিয়ে বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিল। ২৬শে মার্চ সকালে স্থানীয় এক মেস থেকে আনোয়ারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী খালেদা খাতুন বাদী হয়ে উল্লিখিত পুলিশ অফিসার রেজাউল করিম, হৃদয় ও সোহেলসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ২৭শে মার্চ আমিনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৯। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত আনোয়ারের বৃদ্ধ বাবা ওহাব প্রাং, চাচাতো ভাই রেজাউল করিম, আনোয়ারের দুই শিশুসন্তান চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মিতুল (৮) ও মায়শা (৪)। সংবাদ সম্মেলনে তার শিশুসন্তান নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং স্বামী হত্যার সুবিচার দাবি করেন।