বাংলারজমিন
ধনবাড়ীতে লালসার শিকার স্কুলছাত্রী
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০১৮, শুক্রবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে গণধর্ষণে এক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। সমাজপতিদের বিরেুদ্ধে ধর্ষণে জড়িতদের কয়েক ঘা জুতার ঘা আর এক লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ধনবাড়ী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রূপশান্তি পশ্চিমপাড়ার এ ঘটনায় কাউন্সিলর জাকারিয়া বকল, স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মামুন, ধর্ষক আলামিনের বাবা মাহতাবসহ স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর নিয়ে ধর্ষক রফিকুল, জিয়াউল হক ও আল আমিনদের বাঁচাতে প্রহসনের বিচার করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতিত মেয়েটির পরিবার সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রূপশান্তি এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে ছাগল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৩০) প্রতিবেশি হতদরিদ্র অসহায় এক পরিবারের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে (১৩) প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। প্রতিবারই আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার নাটক করে গ্রুপের অন্য সদস্যদের সুযোগ দিতে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ কাজে এক এক করে একই এলাকার রহমান আলী মণ্ডলের ছেলে জিয়াউল হক (৩২), মাহতাব আলীর ছেলে মেয়েটির সম্পর্কে মামা আল আমিনসহ (২৮) আরো ২-৩ জন যুক্ত হয়ে বার বার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ খবর চাউর হয়ে পড়লে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া বকল, পল্লী চিকিৎসক মামুন, সুমন মিয়া ও মাহতাবসহ স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর নিয়ে সালিশের আয়োজন করেন। গত সোমবার রাতে এ নিয়ে সালিশি বৈঠকে ধর্ষকদের জুতার আঘাত, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মেয়েটির গর্ভপাত ঘটিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জরিমানার ৫০ হাজার টাকা নির্যাতিতার পরিবারের হাতে দিয়ে মেয়েটিকে গর্ভপাত ঘটানোর নির্দেশ দিয়ে এবং ঘটনাটি চেপে যেতেও চাপ দেয়া হয় পরিবারটিকে। ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা, বিষয়টি আমি শুনেছি। ধনবাড়ী থানার ওসি মজিবর রহমান ঘটনার কথা কিছু শুনেছেন কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।