বিনোদন

‘জয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুত্ব, প্রেম বা তার চেয়েও বেশি কিছু’

বিনোদন ডেস্ক

১৯ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

সম্প্রতি নিজের নির্মাণ ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার, প্রেম, বিয়ে নিয়ে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ওপার বাংলার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তার কিছু অংশই এখানে তুলে ধরা হলো। প্রশ্ন ছিলো ‘উমা’ আপনার পরবর্তী ছবি। এর ট্রেলার দেখতে দেখতে বার বার মনে হচ্ছিল এখানেও এক বাচ্চা মেয়ে আছে? সৃজিত উত্তরে বলেন, ফেসবুক থেকে উমার জন্ম! আমি জানি এ ছবি মানুষের আবেগকে নাড়িয়ে দেবে। তবে এখন  ফেসবুক খুলতে খুব ভয় করে। আমার মনে হয় মানুষের  থেকে ইয়েতি অন্তত ভাল। ইয়েতি কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করা বা স্কুল থেকে বের করে কোনও শিশুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় না। নিজেকে মানুষ বলতে লজ্জা হয়! সেই লজ্জা থেকেই উমা? সৃজিত বলেন, একদমই তাই। সম্পূর্ণ অপরিচিত একটা মেয়ের জন্য, কোনও আত্মীয় নয়, কোনও মা-বাবার বন্ধু নয়,  গোটা একটা শহর বসন্তকালে দুর্গাপুজোর আয়োজনে সেজে উঠল। গল্পের অনুপ্রেরণা যার কাছ থেকে আমি পেয়েছি সেই ইভানের মা এই ছবির মুক্তির দিনে কলকাতায় আসবেন। আমি কানাডা যাব। ইভানের প্রিয় পার্কে ওই শহরের মানুষকে ‘উমা’ দেখানো হবে। ‘উমা’ আসলে আবেগের ছবি। ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘চতুষ্কোণ’-এর পরিচালক হঠাৎ ‘উমা’ করার রিস্ক নিচ্ছেন! সৃজিত বলেন, ‘উমা’আমার বারো নম্বর ছবি। তবে এরকম নয় যে আমি বারো নম্বর ছবিতে অবশেষে রিস্ক নিলাম। আমি চাইলে ‘অটোগ্রাফ’ ২ বা ৩ তৈরি করতেই পারতাম, ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর সিক্যুয়েল করতে পারতাম, কিন্তু করিনি তো! কেন? সৃজিত উত্তরে বলেন, আমি আসলে নাবিক। নদী, সমুদ্র, অতল ঢেউয়ের কাছে আমায় নোঙর ফেলতে হবে। দেখতে হবে ¯্রােত কোন দিকে যায়। শ্যাওলা ধরাতে চাই না। অনেক কাজের কথা হলো। একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। রাজনন্দিনী না জয়া আহসান? সৃজিত বলেন, ওরে বাবা! রাজনন্দিনী বাচ্চা মেয়ে। আমি ওর মেন্টর। ওর সব কিছু নিয়ে আমার বক্তব্য আছে। আর জয়া? সৃজিত বলেন, জয়ার মতো অভিনেত্রী...জয়ার মতো মানুষ...জয়ার মতো নারী আমি খুব খুব কম দেখেছি। এই সম্পর্ক বন্ধুত্ব, প্রেম বা তার চেয়েও বেশি কিছু। আর বিয়ে? সৃজিত বলেন, কার সঙ্গে কবে হবে জানি না। তবে আমি বিয়ে করব  ভেবেই প্রেম করতে চেয়েছি। এমনও হয়েছে, কোনও আবেগঘন মুহূর্তে কেউ বলে ফেলেছে, কাস্টিং-টা কী হল? তার ছিঁড়ে গেছে সেই দিন... প্রেম আর কাজ আমি জীবনেও গুলিয়ে ফেলিনি। মানে কাজটাই আসল? সৃজিত বলেন, বাবা চলে গেল যেদিন, শ্মশানে ওই চিতাভস্ম হাতে নিয়ে বুঝেছিলাম, সব ফুরিয়ে যাবে থেকে যাবে কাজ। আমার চলে যাওয়ার পর মনে হয় পেন ড্রাইভে আমার ওই ছবি, গান, অভিনয় থাকবে। ব্যস, এইটুকু আলো নিয়ে বাঁচি!
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status