অনলাইন

রাশেদের মা হাসপাতালে

সৌদিতে বিস্ফোরন, লক্ষ্মীপুরের সহোদর নিহত, শোকের মাতম

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

১৯ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

কে জানতো এ যাওয়াই জসিমের শেষ যাওয়া। মাত্র তিন মাস আগে দেশে এসে বিয়ে করেছিলেন জসিম। এরপর স্বপ্ন নিয়ে ফের পারি জমান সৌদি আরব। সেখানেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের জসিম ও তার ভাই দগ্ধ হয়ে নিহত  হয়েছে। এরা হলেন- কমলনগর চরলরেন্স এলাকার নেছার আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই মো. ইব্রাহিম। এ ঘটনার পর নিহতের পরিবার ও  এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের আল হোলাইফা শহরে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের স্বজনরা জানায়, গত চার বছর আগে জসিম উদ্দিন সৌদি আরবে যান। এর দুই বছর পর ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেনকে সৌদি আরবে নেন। এর আগে দুই সহোদরের বাবা নেছার আহমদ যান একই স্থানে। দুই ভাই ও বাবাসহ তিনজনে মিলে সৌদি আরবের আল হোলাইফা শহরে লোপ তোষকের ব্যবসা করতেন। অন্যদের সাথে তারা তিনজনও একই বাসায় থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরন হয়ে লক্ষ্মীপুরে দুই সহোদর জিসম উদ্দিন ও ইব্রাহিম হোসেনসহ ৭জন নিহত হয়। দুঘর্টনার সময় নিহতের বাবা নেছার আহম্দ বাসার বাহিরে ছিলেন। এতে করে বেচেঁ গেলেন নেছার  আহমদ। গত তিনমাস আগে জসিম উদ্দিন ছুটি নিয়ে দেশে এসে বিয়ে করে আবার চলে যান কর্মস্থলে। তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল, পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে,দুই বোনকে বিয়ে দিবে, নিজেরা বিয়ে করে সুখি সংসার করবে, মা-বাবার মুখে হাসি ফুটাবে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমাদের কি হবে,কে দেখবে এ ভাবে বিলাপ করতে করতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বৃদ্ধা মা রৌশন আরা। একই অবস্থায় পরিবারের অন্য স্বজনদেরও।  মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দ্রুত তাদের লাশ ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা। পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন ও জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ফেনী প্রতিনিধি জানান, গত ৬ই ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব যান ফেনীর মো. মহিউদ্দিন রাশেদ। আড়াই মাস সৌদি আরবে বেকার ঘুরার পর বুধবার নতুন চাকরিতে যোগ দেয়ার কথা ছিলো। চাকরিতে যোগ দেয়ার আগেই সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরনে না ফেরার দেশে চলে গেল রাশেদ। ছেলের মৃত্যুর কথা শুনে মা  কুলফুরের নেছা স্ট্রোক করে বুধবার রাতে ফেনীর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।  
নিহতের শাশুড়ি ঋনা মজুমদার জানান, ফেনী শহরের উত্তর বিরিঞ্চি এলাকার ইলিয়াছ মেম্বার বাড়ির মা-বাবার এক মাত্র ছেলে রাশেদ নিজের স্ত্রী ও ছোট ছোট তিনটি সন্তান এবং বাবা-মার মুখে হাঁসি ফোটাতে সৌদি আরব যায়। হঠাৎই মৃত্যুর সংবাদ শুনে রাশেদের তিন সন্তান নিয়ে স্ত্রী শিখা মজুমদার এখন অনেকটা দিশেহারা। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ সবার ছোট। নিহত রাশেদের জিহান (৭), সাফওয়া (৫) ও আলিফ নামে তিনটি সন্তান রয়েছে। নিহত রাশেদের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, একমাত্র ছেলের লাশ দ্রুত যেন দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status