শেষের পাতা

অতীতের ভোট ডাকাতির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন না

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

১৯ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন- ব্যক্তিগত, প্রতিহিংসা ও নোংরামির রাজনীতি ছেড়ে আসুন খুলনাবাসীর কাছে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক নেতৃত্বের চর্চা করি। খুলনাবাসী আমাদের কাছে সঠিক নেতৃত্বের আশা করে। আমরা নেতৃত্বে থেকে আগামীর জন্য সৎ, যোগ্য ও আদর্শ রাজনীতিবিদ গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো এমপি বা বড় নেতার সন্তানেরা হাউসটিউটর হয়; আমার জানা নেই। আমার দুই সন্তান হাউসটিউটর; আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি-এটা আমার সন্তানদের ত্যাগ। আলীশান বাড়িতে আমি থাকি না; এই শহরের সবচেয়ে ছোট্ট বাসায় ছোট ছোট দুটো রুম নিয়ে আমি থাকি। যার ভাড়া হচ্ছে নয় হাজার টাকা। আওয়ামী লীগের নেতারা এসব বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। সাংবাদিকদের তার বাসা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন; তবে সকলে একসঙ্গে গেলে সবাইকে একত্রে বসতেও দিতে পারবেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মঞ্জু। মঙ্গলবার মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রতিবাদে এ ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের আর নোংরামি না করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক রাজনীতির আহ্বান জানান তিনি।
নগর বিএনপির সভাপতি মঞ্জু বলেন, প্রার্থী হিসেবে আমার বক্তব্য বলতে এসেছি। আমি সীমিত আয়ের মানুষ। আমার পিতার একটি বাড়ি আছে, দুইটি বিল্ডিং চারতলা ও একতলা। সেখান থেকে ত্রিশ/বত্রিশ হাজার টাকার মতো ভাড়া পাই। আমি কয়েকবার ব্যবসা করার চেষ্টা করে উদ্যোগ নিয়েছি; আমার আর মনি ভাইয়ের যৌথ লাইসেন্স আছে সিএন্ডএফ’র। যদিও সেটায় কাজ করা যায় না। আমি নিজে কয়েক বছর চেষ্টা করেও মংলা বন্দরের কোনো কাজ ধরতে পারিনি। যেখানেই কাজ ধরতে যাই, সেখানেই খালেক তালুকদারের হস্তক্ষেপ। সেই ব্যবসায়ীকে বলে দেয়া হয়, মঞ্জুকে কাজ দিলে জাহাজ থেকে এখানে মাল নামানো যাবে না। এই কথাটি আমি খালেক সাহেবকে বলেছি যে, আমরা কি না খেয়ে থাকবো? আমি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নোংরামির কথা বলতে চাই না। আমার একটি গাড়ি আছে, যেটি আমি এমপি থাকাকালীন শুল্কমুক্ত পেয়েছিলাম। বিশ লাখ টাকা ব্যাংক লোন ও পৌনে চার লাখ টাকা নিজে দিয়ে গাড়িটি কিনেছিলাম। পরে সংসদে প্রাপ্ত সম্মানী থেকে ব্যাংক লোন পরিশোধ করেছি। আমার যখন অর্থ সংকট হয়; তখন আমি গাড়ি ছেড়ে রিকশায় চলাচল করি; মোটরসাইকেলে চলি- সবাই তা জানেন। আমি সবসময় একা চলি; আমার কোনো বাহিনী নেই। আমার বিশেষ পাহারা নেই।
আমার স্ত্রীর ও আমাদের বাড়ি ভাড়া মিলে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা বার্ষিক আয়। আমার দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ তাদের মামারাই বহন করে। আমার স্ত্রীর পরিবার সম্পর্কে সবারই জানা, এই শহরের একটি ধনাঢ্য পরিবার। আমার মেয়ে, চারটি টিউশনি করে তার পড়ার খরচ নির্বাহ করছে।
কেসিসি নির্বাচনে প্রশাসন ও সরকার নিরপেক্ষ থাকবে, আশা প্রকাশ করে মঞ্জু বলেন, ‘বিগত দিনের তিনটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারি দলের কর্মীরা ভোট ডাকাতির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন না বলে বিশ্বাস করি।’
এ সময় নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, সহ-সভাপতি খান আলী মুনসুর, নগর শাখার সহ-সভাপতি শেখ মুশাররফ হোসেন, আব্দুল জলিল খান কালাম, জাফরউল্লাহ্‌ খান সাচ্চু, মো. ফকরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিরাজুল ইসলাম মেঝোভাই, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট রুহুল হাসান রুবা, মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল ও সেখ কামরান হাসান প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status