খেলা
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
বাংলাদেশের গ্রুপে ভুটান
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
আগামী সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে সহজ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিকদের সঙ্গী হয়েছে নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটান। এতে ‘বি’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও ফেভারিট ভারত খেলবে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ১৯৯৩ সালে রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে সাফ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তারপর থেকে গ্রুপিংয়ের নিয়ম চালু হয়। গ্রুপ পর্বের পর নকআউট পর্ব, অর্থাৎ সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। ৪-১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সাত দেশের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের এবারকার আসর।
২০০৩ ও ২০০৯ সালের পর তৃতীয় বারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্টটি। ড্র অনুযায়ী সাত দেশকে দুই গ্রুপে ভাগ করে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। ২০০৩ সালের পর থেকে নিয়মিতই সাফে খেলে আসছিল আফগানিস্তান। এবার নেই দেশটি। এ বিষয়ে সাফের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এবারের টুর্নামেন্টেও নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আফগানিস্তান অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সাফের গত কার্যনির্বাহী কমিটিতে তাদের অনুরোধ ধোপে টেকেনি। তাই ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটি আর নেই সাফের সঙ্গে।’ সাফ শুরু হতে মাস চারেক বাকি থাকলেও এখনো প্রস্তুত নয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ফ্লাড লাইটের অবস্থাও যাচ্ছে তাই। স্টেডিয়ামের করুণ অবস্থা নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করেছি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটের আলো স্বল্পতার অবসান হবে। আশা করছি বাকি সংস্কারও দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’ ২০১৬ সালে যাদের কাছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের ফিরতি ম্যাচে হেরেই চূড়ান্ত পর্বে খেলার স্বপ্ন চূর্ণ হয় বাংলাদেশের। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসনে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে হারিয়ে সেই নির্বাসনের প্রতিশোধের সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে। তবে, এসব নিয়ে ভাবতে চান না বাফুফে সভাপতি। তারমতে শিরোপা জিততে হলে সব দলকে হারাতে হবে। সেখানে ভুটান কোনো বিষয় না। ইংলিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু অর্ড নেই। ফলে শূন্যতা রয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ পদে। এ বিষয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের জাতীয় দল গত তিন মাস ধরে অনুশীলনের মধ্যেই রয়েছে। কাতারে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছে। থাইল্যান্ডে অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে। তাছাড়া লাওসে ফিফা প্রীতি ম্যাচও খেলেছে। তাই কোচ না থাকলেও তেমন সমস্যা নেই। তবে, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই নতুন কোচ নির্বাচন করা হবে। পুরানো নয়, একেবারে নতুন।’ এ বিষয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘গত দশ বছরে জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের যে সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে, তা ৫০ বছরেও দেয়নি। তাই ফুটবলারদের সুযোগ না দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’ এদিকে এ বছরেই স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি হিসেবে লাগাডিয়ার সঙ্গে সাফের চুক্তি শেষ হচ্ছে বলে জানান সালাউদ্দিন। গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাফ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালের সঞ্চালয়ান ড্র অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, কাজী নাবিল আহমেদ, মহিউদ্দিন মহি ও তাবিথ আউয়াল, সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, ইকবাল হোসেন, জাকির হোসেন চৌধুরীসহ অন্যরা।
বাংলাদেশে সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসেছিল ২০০৯ সালে। সেবারই শেষবারের মতো সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর পরের তিনটি আসরে বাংলাদেশের বিদায় হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। এরপর ভারত দুই বার এবং নেপাল একবার এই আসরের আয়োজন করে। সাফের সর্বাধিক সাত বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। একটি করে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
সাফ গ্রুপিং
‘এ’ গ্রুপ
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটান
‘বি’ গ্রুপ
ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা
২০০৩ ও ২০০৯ সালের পর তৃতীয় বারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্টটি। ড্র অনুযায়ী সাত দেশকে দুই গ্রুপে ভাগ করে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। ২০০৩ সালের পর থেকে নিয়মিতই সাফে খেলে আসছিল আফগানিস্তান। এবার নেই দেশটি। এ বিষয়ে সাফের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এবারের টুর্নামেন্টেও নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আফগানিস্তান অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সাফের গত কার্যনির্বাহী কমিটিতে তাদের অনুরোধ ধোপে টেকেনি। তাই ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটি আর নেই সাফের সঙ্গে।’ সাফ শুরু হতে মাস চারেক বাকি থাকলেও এখনো প্রস্তুত নয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ফ্লাড লাইটের অবস্থাও যাচ্ছে তাই। স্টেডিয়ামের করুণ অবস্থা নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করেছি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটের আলো স্বল্পতার অবসান হবে। আশা করছি বাকি সংস্কারও দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’ ২০১৬ সালে যাদের কাছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের ফিরতি ম্যাচে হেরেই চূড়ান্ত পর্বে খেলার স্বপ্ন চূর্ণ হয় বাংলাদেশের। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসনে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে হারিয়ে সেই নির্বাসনের প্রতিশোধের সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে। তবে, এসব নিয়ে ভাবতে চান না বাফুফে সভাপতি। তারমতে শিরোপা জিততে হলে সব দলকে হারাতে হবে। সেখানে ভুটান কোনো বিষয় না। ইংলিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু অর্ড নেই। ফলে শূন্যতা রয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ পদে। এ বিষয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের জাতীয় দল গত তিন মাস ধরে অনুশীলনের মধ্যেই রয়েছে। কাতারে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছে। থাইল্যান্ডে অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে। তাছাড়া লাওসে ফিফা প্রীতি ম্যাচও খেলেছে। তাই কোচ না থাকলেও তেমন সমস্যা নেই। তবে, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই নতুন কোচ নির্বাচন করা হবে। পুরানো নয়, একেবারে নতুন।’ এ বিষয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘গত দশ বছরে জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের যে সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে, তা ৫০ বছরেও দেয়নি। তাই ফুটবলারদের সুযোগ না দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’ এদিকে এ বছরেই স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি হিসেবে লাগাডিয়ার সঙ্গে সাফের চুক্তি শেষ হচ্ছে বলে জানান সালাউদ্দিন। গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাফ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালের সঞ্চালয়ান ড্র অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, কাজী নাবিল আহমেদ, মহিউদ্দিন মহি ও তাবিথ আউয়াল, সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, ইকবাল হোসেন, জাকির হোসেন চৌধুরীসহ অন্যরা।
বাংলাদেশে সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসেছিল ২০০৯ সালে। সেবারই শেষবারের মতো সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর পরের তিনটি আসরে বাংলাদেশের বিদায় হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। এরপর ভারত দুই বার এবং নেপাল একবার এই আসরের আয়োজন করে। সাফের সর্বাধিক সাত বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। একটি করে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
সাফ গ্রুপিং
‘এ’ গ্রুপ
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটান
‘বি’ গ্রুপ
ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা