বাংলারজমিন
স্কুলরুমে ‘আপত্তিকর’ নারীসহ প্রধান শিক্ষক আটক
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৯ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক নারীকে স্থানীয় জনতা স্কুলরুমে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। সিরাজদিখান উপজেলার খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে গতকাল সকাল ১০টায় স্কুল মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া দুপুরে স্কুল পরিচালনা পরিষদ জরুরি সভা ডেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। আটক প্রধান শিক্ষক আবু মোতাহার মো. নিয়ামুল বাকী (৫০) সে ময়মনসিংহ জেলা সদরের মনোয়ার হোসেনের ছেলে। ওই নারী বিথী আক্তার (২৭) মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার পাটাভোগ ইউনিয়নের উঃ পাইকসা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান শিক্ষক অনেক দিন ধরে স্কুলের দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিথী আক্তার নামে এক নারীকে তার থাকার রুমে নিয়ে যান। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে রুমের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে রুম খুলে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে। ওই সময় এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দেয়। রাত ১১টার দিকে সিরাজদিখান থানা পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বালুচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এবি সিদ্দিক মন্টু বলেন, প্রধান শিক্ষক এর আগেও বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। এ নিয়ে বিচার সালিশ হয়েছে। আর এ ঘটনাটি একেবারে ঘৃণার। একজন শিক্ষক এত নিচে নামতে পারে তা জানা ছিল না।
স্কুল কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জানান, আমরা ঘটনাটি শুনি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে অবগত হই। এই ঘটনায় আমরা দুপুরে কমিটির সদস্যরা মিটিং করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এছাড়া আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী ও এক শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করার কথা শুনেছি। তবে সরাসরি কোনো অভিযোগ পাইনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিরাজদিখান থানার ওসি তদন্ত হেলাল উদ্দিন জানান, উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে রাত ১১টায় থানায় নিয়ে আসি। বুধবার সকাল ১০টায় আটক দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় একটি মামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান শিক্ষক অনেক দিন ধরে স্কুলের দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিথী আক্তার নামে এক নারীকে তার থাকার রুমে নিয়ে যান। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে রুমের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে রুম খুলে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে। ওই সময় এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দেয়। রাত ১১টার দিকে সিরাজদিখান থানা পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বালুচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এবি সিদ্দিক মন্টু বলেন, প্রধান শিক্ষক এর আগেও বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। এ নিয়ে বিচার সালিশ হয়েছে। আর এ ঘটনাটি একেবারে ঘৃণার। একজন শিক্ষক এত নিচে নামতে পারে তা জানা ছিল না।
স্কুল কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জানান, আমরা ঘটনাটি শুনি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে অবগত হই। এই ঘটনায় আমরা দুপুরে কমিটির সদস্যরা মিটিং করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এছাড়া আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী ও এক শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করার কথা শুনেছি। তবে সরাসরি কোনো অভিযোগ পাইনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিরাজদিখান থানার ওসি তদন্ত হেলাল উদ্দিন জানান, উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে রাত ১১টায় থানায় নিয়ে আসি। বুধবার সকাল ১০টায় আটক দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় একটি মামলা হয়েছে।