বিড়ি শিল্প রক্ষায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কার্যক্রম শুরু

দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী চিঠির প্রতিবাদে সংসদের স্পিকার, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিড়ি শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। গত ১১ই এপিল থেকে এ পর্যন্ত ১৬ জন সংসদ সদস্যকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারক লিপিতে দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প বন্ধে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবের প্রতিবাদ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিড়ি ও সিগারেট বন্ধে একই সময় নির্ধারণ ও বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানানো হয়। বিড়ি শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, যশোর অঞ্চলে সংগঠনের পক্ষে  প্রতিমন্ত্রী  ইসমাত আরা সাদেক, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, স্বপন ভট্টাচার্য, রণজিৎ রায় এবং মনিরুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া অঞ্চলের শ্রমিক-কর্মচারীরা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু,  দৌলতপুর এলাকার সংসদ সদস্য রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
রংপুর অঞ্চলে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সংসদ সদস্য টিপু মুনশি, এইচএন আশিকুর রহমান, আহসান হাবিব ডিউক চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলালের এপিএস সংসদ সদস্যের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং বাগের হাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল খালেক তালুকদারকে স্মারকলিপি দিয়েছে ওই অঞ্চলের বিড়ি-শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুকে। উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত  প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের বিড়ি-সিগারেট বন্ধের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে চিঠি লেখেন। চিঠিতে বলা হয়, আগামী দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প তুলে দেয়া হবে। অন্যদিকে সিগারেট বন্ধে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে  ২০৪১ সাল পর্যন্ত। শ্রমিকরা মনে করছেন, অর্থমন্ত্রীর এই একতরফা সিদ্ধান্তে সিগারেট শিল্প লাভবান হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ শ্রমিক।