আমিন জুয়েলার্সের চুরি হওয়া ২১৭ ভরি গয়না ফরিদগঞ্জ থেকে উদ্ধার

রাজধানী ঢাকার আমিন জুয়েলার্সের চুরি হওয়া ২১৭ ভরি গয়না ও নগদ ১১ লাখ ২৪ হাজার টাকা ফরিদগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকার গুলশান ও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় আমান উল্লাহ নামের ১ জনকে আটক করে পুলিশ। দুর্ধর্ষ এ চুরি সংঘটিত হয় আমিন জুয়েলার্সের গুলশান শাখায়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চরবড়ালী গ্রামের ডাক্তার বাড়ি থেকে এ টাকা ও গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আমিন জুয়েলার্সের গুলশান-২ শাখায় দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয় শনি বা রোববারের কোনো এক সময়ে। চুরির ঘটনাটি বুঝতে পেরে মালিক পক্ষ গুলশান থানায় মামলা করে। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে। তদন্তে কয়েক জনের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়। কালক্ষেপণ না করে অপরাধীকে আটক, গয়না ও টাকা উদ্ধারে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে পুলিশ। এতে, আটককৃত আমান উল্লাহর ছেলে সুলতান মোহাম্মদ সাদ্দাম (২৪) ও আরো চার জনের সম্পৃক্ততার ক্লু পায় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উদ্ধারকৃত এ টাকা নিয়ে সাদ্দাম গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে। তাৎক্ষণিক সোমবার রাতে গুলশান থানা পুলিশ ফরিদগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। এদিকে, বার্তা পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার রাজামন্দ পাটোয়ারি বাড়ির সাদ্দামের খালা আনোয়ারা বেগমের ঘরটি রাতভর ঘেরাও করে রাখে। সকাল ৮টায় দুই থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। তারা পাকা ঘরটির ৮টি কক্ষে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। সকাল ১০টা নাগাদ ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের এএসআই বাহার উদ্দিন কয়েকটি চালের ড্রামের সঙ্গে থাকা একটি চালের বস্তা থেকে গয়না ও টাকাগুলো উদ্ধার করে। এদিকে, পুলিশের অভিযানেরর আগেই সাদ্দাম পালিয়ে যায়। ওদিকে, পুলিশ বাড়িতে ঢোকার পর খালা আনোয়ারা বেগম পালিয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, তার খালা আনোয়ারার স্বামী গত এক বছর পূর্বে মৃত্যু বরণ করেছেন। আগে থেকেই তার গতিবিধি সন্দেহজনক।