শেষের পাতা

নি র্বা চ নী হা ল চা ল, নওগাঁ- ৬

আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক প্রার্থী

সাদেকুল ইসলাম, নওগাঁ থেকে

২৭ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন

রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও আওয়ামী লীগের মো. ইসরাফিল আলম এবং বিএনপির মো. আনোয়ার হোসেন বুলুকে সম্ভাব্য প্রার্থী মনে করছেন দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় ভাবেও ওই দুই প্রার্থী মনোনয়নের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন।আওয়ামী লীগ আসন ধরে রাখতে আর বিএনপি আসনটি উদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. আলমগীর কবির নির্বাচনে অংশ নিলে সেই দৃৃশ্য পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। ৭৯, ৯১, ৯৬, ২০০১ সালে নওগাঁ-৬ আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। ’৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে চৌধুরী মোতাহার হোসেন এমপি নির্বাচিত হন। ৮৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমান (স্বতন্ত্র) এমপি নির্বাচিত হন। ৮৮ সালে জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলাম রেজা মোল্লা এমপি নির্বাচিত হন। ৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল আলম এমপি নির্বাচিত হন।
এক সময়ের সর্বহারার হত্যাযঞ্জের কারণে রক্তাক্ত জনপদ ও জেএমবি অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে পরিচিত উপজেলা দুটি এখন শান্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সেই অধ্যায় কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে।
এ আসনে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রাণীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল, নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন, রানীনগর বড়গাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র উপদেষ্টা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আলহাজ আব্দুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রানীনগর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল ইসলাম।
নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের দলীয় অবস্থান বেশ ভালো। তিনি ২০০৮ সালে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন বুলুকে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তিনি গত ৯ বছরে এলাকার শিক্ষা, যোগযোগ, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে বেশ ভালো অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে খ্যাত রানীনগর-আত্রাইকে শান্তির জনপদে রূপান্তরে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। লেখক, রবীন্দ্রস্মৃতি সংগ্রাহক ও গবেষক এম মতিউর রহমান মামুন বলেন স্বাধীনতা পরর্বতী আত্রাই-রাণীনগরের কোনো পেশার মানুষই খুব একটা ভালোছিল না। এক সময় রাত পোহালেই শুনতে পেয়েছি রক্তেভেজা কান্না, বঞ্চিতের আত্মবিলাপ, খবরের কাগজের শিরোনাম ছিল খুন, আবারও খুন, ছয় ছয়জনকে গলা কেটে হত্যা, নারী ধর্ষণ, নীরব চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কাজের এমন হাজারও সংবাদ।
সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল অর্থনৈতীক মুক্তি, চলাফেরার অবাধ স্বাধীনতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কথা বলার আধিকার। ২০০৮ এর নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলের পর ইসরাফিল আলম এমপির ওপর মানুষ নির্ভর হয়ে পড়ে। গণমানুষের নেতা হিসাবে ইসরাফিল আলম ঝুঁকি নিয়ে বুদ্ধিমত্তার ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সাধারণ মানুষের মুক্তি এনে দিয়েছেন। সর্বহারা, জেএমবি’র হাত থেকে মানুষ এখন মুক্ত। হত্যা, চাঁদাবাজি, লুটপাট, নির্যাতনের কবল থেকে মানুষ মুক্ত, আত্রাই রাণীনগরের মানুষ মৌলিক আধিকার ফিরে পেয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া আত্রাই রাণীনগরকে এগিয়ে নেয়ার একটা বড় চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছেন ইসরাফিল আলম। ক্ষুধামুক্ত সমাজ গঠন, দরিদ্রতা, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি, একাডেমিক ভবন নির্মাণ, পাকা রাস্তা তৈরি, ছোট বড় ব্রিজ নির্মাণ, কৃষি খামার তৈরি ও উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে তিনি অসামান্য আবদান রেখে মধ্য যুগের আত্রাই রাণীনগরকে একুশ শতকের আধুনিক আত্রাই রাণীনগরে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরাফিল আলম আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- নর্থ বেঙ্গল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট রানীনগর, নর্থ বেঙ্গল হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট আত্রাই, ওয়েব অ্যাপ বিডি লিমিটেড রানীনগর, ইসরাফিল আলম আইটি অ্যান্ড পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট আবাদপুকুর। মাদার কেয়ার স্কুল রাণীনগর, কাসিমপুর কৃষি খামার প্রতিষ্ঠা করে কৃষককে মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান। এর বাইরেও পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনা কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ও আজিজুর রহমান মেমোরিয়াল স্কুল স্থাপন এবং সম্প্রতি পতিসরে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রনাথ গবেষণা ইন্সটিটিউট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রায় সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছেন। আর এসব কারণেই ইসরাফিল আলম ব্যতীত বিকল্প কেউ নৌকা নিয়ে এই আসনে বিজয়ী হওয়া কঠিন এবং তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে অনেক দিন।
সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম বলেন, ১৯৭৩ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা এই আসনে পরাজিত হয়ে আসছে। ৩৫ বছর পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়ে রাজাকার, নকশাল, সর্বহারা, জেমমবিসহ সকল প্রকার সন্ত্রাস উৎখাত করে সর্বস্তরে জনগণের মাঝে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তা শতভাগ বাস্তবাযন করেছি। উন্নয়ন বঞ্চিত আত্রাই-রানীনগরকে উন্নয়নের মডেল হিসাবে রূপান্তরে যে শপথ নিয়ে ছিলাম, তা আশাতীতভাবে বাস্তবায়ন করেছি। এলাকার জনগণের মৌলিক অধিকারসহ জীবন-মানের উন্নয়নে ঐতিহাসিক অবদান রেখেছি। সেজন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার নাম এই জনপদে গণমানুষের হৃদয়ে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেছে। তা আর কোনোদিন মুছতে পারবে না। আশাতীত উন্নয়নের জন্য জনগণ দলমত নির্বিশেষে আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. নওশের আলী ২০০১ সাল থেকে নওগাঁ-৬ আসনের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি রাজশাহীতে ভাড়া বাসায় বসবাস করলেও এলাকায় বিভিন্ন দলীয় কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি জানান, ১৯৬৫ সালে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে এখনো রাজনীতি করে আসছি। আমার পিতা সাবের আলী প্রামানিক রানীনগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। আমার পরিবার আওয়ামী লীগের পরিবার। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিবেচনায় মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়ে আমি আশাবাদী। তবে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার হয়েই কাজ করবো।
কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. ওহিদুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহিলালীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মরহুমা ফেরদৌসী রহমান এর ছেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন।
অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন বলেন, “আমি দীর্ঘদিন থেকে আত্রাই-রাণীনগরের প্রতিটি গ্রামে গণসংযোগ করে আসছি। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী দিলে আমিই দলের মনোনয়ন পাবো বলে আশাবাদী। আমি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে আত্রাই-রাণীনগর দুই উপজেলায় দুইটি পৌরসভা করবো।
রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসছি। সব সময় এই জনপদের মানুষের সুখে দুঃখে পাশে আছি।। মনোনয়ন চাইবো। তবে নিজে না পেলেও যিনি মনোনয়ন পাবেন তার হয়ে কাজ করবো।
বিএনপি:
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এমপি ছিলেন আলমগীর কবির। বিএনপির শাসনামলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে আলমগীর কবির বিএনপি ত্যাগ করে এলডিপিতে যোগ দেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা এক সংকটময় সময় অতিবাহিত করে। বিএনপির সেই দুঃসময়ে দলের হাল ধরেন আলমগীর কবিরের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন বুলু। আনোয়ার হোসেন বুলু ছাড়াও প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সহযোগী ও পারিবারিক কর আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী, জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. মো. জিল্লুর রহমান, কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের সহসাধারণ সম্পাদক এছাহক আলী, জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এ জেড এম রফিকুল আলম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী মোতাহার হোসেনের ছেলে এবং জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতী সাবেক ছাত্রনেতা মো. মামুন হোসেন স্ট্যালিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক বেলালও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন।
এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন বুলু দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। তার সর্মথক রানীনগর থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক জাকির হোসেন জানান ২০০৬ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার পর থেকেই নওগাঁ-৬ আসন তথা রাণীনগর আত্রাই উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা দিশাহারা হয়ে পড়ে। সে দুঃসময়ে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন আনোয়ার হোসেন বুলু। কঠোর পরিশ্রম ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এলাকার নেতাকর্মীদের মাঝে দলের এবং নিজের অবস্থান পোক্ত করেন। ২০০৮ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বুলু পরাজিত হন। এরপরও তিনি এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় দলীয় শক্ত অবস্থানে রয়েছেন আনোয়ার হোসেন বুলু। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে তাঁর সরব উপস্থিতি দলের নেতাকর্মীরা অনেকটাই চাঙ্গা রয়েছে।
এদিকে শিল্পপতি এছাহক আলী বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি নওগাঁ জেলা তাঁতি দলের সভাপতি ও তাঁতি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক। তিনিও এলাকায় জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। গত বন্যায় বন্যার্তদের মাঝে নিজ উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তিনি এলাকায় বিএনপির কর্মীদের জন্য অফিস করে দিয়েছেন। তাঁর পরিবার প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে রানীনগরের কোবরাতলী এলাকায় একটি দৃষ্টি নন্দন মসজিদ নির্মাণ করছে। এলাকার যে কোনো সমস্যায় তাঁকে পাওয়া যায়। তিনি একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ বলে তাঁর একাধিক সমর্থক জানান। এছাহক আলী বলেন, আমি এলাকায় দলের কাজ করছি। এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে ধানের শিষ মার্কা নিয়ে আমি নির্বাচন করে সফল হব এ ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
সাবেক ছাত্রনেতা মো. মামুন চৌধুরী স্ট্যালিন বলেন বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপিতে ভালো অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
নওগাঁ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক বেলাল বলেন ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র আন্দোলনে নওগাঁ জেলার আহ্বায়ক ছিলাম। দলের আদর্শ ও নীতি নিয়ে রাজনীতি করে আসছি। অনেক আগে থেকেই এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে আসছি। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির দীর্ঘদিন চুপ করে থাকলেও তাঁর সমর্থকরা সরব হয়ে উঠেছে। তিনি এবার নির্বাচন করবেন বলে সমর্থকরা প্রচার করছেন। তবে তিনি দলীয় প্রার্থী হিসেবে না স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে মানুষের এত ভালোবাসা দেখিনি। যারা আমাকে ভোট দেয়নি, তারা এখন আমার কথা বলছে। রাজনৈতিক কর্মী ছিলাম, আছি, থাকবো। আগামী নির্বাচন এলাকার জনগণই সিদ্ধান্ত নিবেন কাকে তারা প্রার্থী মনোনীত করেবেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে রানীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী গোলাম কবিরকে মনোনীত করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন নিশ্চিত করেছেন। জাসদের মনোনীত প্রার্থী নওগাঁ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফসুফ আলী এবার নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।
রানীনগর-আত্রাই এই দুই উপজেলা মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০৯৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫৪৯৭৫ ও মহিলা ১৫৪৪২২ জন। রানীনগর উপজেলায় মোট ভোটার ১৪০৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭০২৮৯ ও মহিলা ৭০৪৫৪ জন। আত্রাই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৬৮৬৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৪৬৮৬ ও মহিলা ৮৩৯৬৮ জন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status