প্রথম পাতা
গাজী রাকায়াতের বিরুদ্ধে তদন্তে সাইবার টিম
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
এক নারীর করা পর্নোগ্রাফি মামলায় অভিনেতা, নির্মাতা গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও মিলেছে। গভীর রাতে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে অশ্লীল, অনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুভূতি পরিপন্থী বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে এক নারী গাজী রাকায়েতের (ফেসবুক আইডি) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর আগে গাজী রাকায়েতের মেসেঞ্জার থেকে নেয়া কয়েকটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন এই নির্মাতা। প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে গাজী রাকায়েত বলেন, তার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড কাজের ছেলের কাছে আছে। সে হয়তো এই কাজ করেছে। পরে তিনি আবার বলেন, তার আইডিটি হ্যাক হয়েছে। এছাড়া ওই নারী ও তার বন্ধুকে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য গাজী রাকায়েত চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন। রাজধানীর শ্যামপুর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করছেন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। এর আগে এই ঘটনায় শ্যামপুর থানায় ওই নারী একটি জিডি করেছিলেন। এছাড়া তিনি ডিএমপি’র ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনে’ অভিযোগ দায়ের করেন। শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা মামলার প্রাথমিক তদন্ত করছি। যেহেতু ফেসবুক সংক্রান্ত বিষয় তাই বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করবে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। সাইবার ক্রাইম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, যে আইডি থেকে ওই নারীকে আপত্তিকর লেখা পাঠানো হয়েছে সেই আইডির মালিক গাজী রাকায়েত। প্রাথমিক তদন্তে ফেসবুক আইডির সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে আইডিটি গাজী রাকায়েত নিজে ব্যবহার করেন নাকি অন্য কেউ করেছে এবং ওই রাতে ওই নারীকে পাঠানো লেখা কে লেখেছে তা গাজী রাকায়েতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বের করা হবে। ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, মামলাটি আমাদের কাছে এসেছে। তবে এখনো আমরা টেকনিক্যাল কাজ শুরু করিনি।
মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেছেন, ‘গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাতে ‘গাজী রাকায়েত কুটু’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে তার মেসেঞ্জারে কথা বলার সময় বিভিন্ন অশ্লীল, অনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুভূতি পরিপন্থী বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ প্রস্তাব দেন। ওই সব আলাপ বন্ধ করতে বলার পরও তিনি জঘন্য রকম যৌন উত্তেজক কথা বলে তাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন, উত্ত্যক্ত করেন।’ তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘গাজী রাকায়েত একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তার আইডি থেকে এ ধরনের বক্তব্য আসায় তিনি খুবই মর্মাহত হন। মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট তিনি একটি ক্লোজ গ্রুপে পোস্ট দেন। এরপর ৬ই মার্চ গাজী রাকায়েত তার ফেসবুক পোস্টে নিজের দুটি ফেসবুক আইডি থাকার কথা স্বীকার করেন, যা হ্যাক হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তার ওই পোস্টের নিচে হ্যাক হওয়ার তারিখ জানতে চাইলেও তিনি কিছুই জানাননি। ৯ই মার্চ ওই নারীর এক বন্ধু মেসেঞ্জারের ওই স্ক্রিনশট দিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। তখন তিনি (গাজী রাকায়েত) পুনরায় বিষয়টি তার ছাত্রদের ওপরে চাপিয়ে দেন।’ এজাহারে মামলার বাদী আরো উল্লেখ করেন, ‘এ বিষয়ে গত ১০ই মার্চ তার ওই বন্ধুকে ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিভিশন প্রযোজক সমিতি এবং শিল্পী সমিতির নিকেতন অফিসে ডেকে নিয়ে জানানো হয় ওই তিন সংগঠনই বিষয়টি তদন্ত করবে। তদন্ত চলাকালীন তার বন্ধুর ফেসবুক আইডির ওই স্ক্রিনশটের পোস্টটি হাইড করে রাখতে বলেন তারা। এরপর পোস্টটি হাইড (অনলি মি) করে রাখা হয়।’
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী আরো অভিযোগ করেন, গত ১৬ই মার্চ তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে ও তার শুভানুধ্যায়ীদের অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। মেসেঞ্জারে সেই অশ্লীল, অনৈতিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী, যৌন হয়রানিমূলক প্রস্তাবের পর থেকেই এই নারী সামাজিক ও মানসিকভাবেও অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় তার দাম্পত্য জীবন এখন সংকটজনক অবস্থায় আছে। তাই তিনি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী গাজী রাকায়েত, যার একটি ফেসবুক আইডির নাম ‘গাজী রাকায়েত কুটু’, যে অপরাধ করেছে, তা তদন্ত করে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
মামলা প্রসঙ্গে গাজী রাকায়েত মানবজমিনকে বলেন, আমি প্রথম থেকে বলে আসছি কয়েকজন কাছের মানুষের কাছে আমার ফেসবুক পাসওয়ার্ড রয়েছে। তাদের কেউ হয়তো এই কাজটি করেছে। এটি নিশ্চত হওয়ার জন্য আমি সময় নিয়েছি। কিন্তু তারা আমার বক্তব্যকে ভুল ভাবে প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন সাইটে। আমি নাকি বলেছি কাজের ছেলের কাছে আমার পাসওয়ার্ড আছে। কোনো সুস্থ মানুষ এটি বলতে পারে? আমার আইডি হ্যাক হয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পর গেল ১২ তারিখে আমি একটি জিডি করেছি। এরপরেও আমাকে নিয়ে তারা বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করছে। ফলে আমি বাধ্য হয়ে ১৫ই মার্চ রাত সাড়ে বারোটায় মামলা করেছি। তারা আমাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সমাধান করবো ।
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও মিলেছে। গভীর রাতে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে অশ্লীল, অনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুভূতি পরিপন্থী বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে এক নারী গাজী রাকায়েতের (ফেসবুক আইডি) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর আগে গাজী রাকায়েতের মেসেঞ্জার থেকে নেয়া কয়েকটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন এই নির্মাতা। প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে গাজী রাকায়েত বলেন, তার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড কাজের ছেলের কাছে আছে। সে হয়তো এই কাজ করেছে। পরে তিনি আবার বলেন, তার আইডিটি হ্যাক হয়েছে। এছাড়া ওই নারী ও তার বন্ধুকে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য গাজী রাকায়েত চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন। রাজধানীর শ্যামপুর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করছেন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। এর আগে এই ঘটনায় শ্যামপুর থানায় ওই নারী একটি জিডি করেছিলেন। এছাড়া তিনি ডিএমপি’র ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনে’ অভিযোগ দায়ের করেন। শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা মামলার প্রাথমিক তদন্ত করছি। যেহেতু ফেসবুক সংক্রান্ত বিষয় তাই বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করবে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। সাইবার ক্রাইম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, যে আইডি থেকে ওই নারীকে আপত্তিকর লেখা পাঠানো হয়েছে সেই আইডির মালিক গাজী রাকায়েত। প্রাথমিক তদন্তে ফেসবুক আইডির সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে আইডিটি গাজী রাকায়েত নিজে ব্যবহার করেন নাকি অন্য কেউ করেছে এবং ওই রাতে ওই নারীকে পাঠানো লেখা কে লেখেছে তা গাজী রাকায়েতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বের করা হবে। ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, মামলাটি আমাদের কাছে এসেছে। তবে এখনো আমরা টেকনিক্যাল কাজ শুরু করিনি।
মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেছেন, ‘গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাতে ‘গাজী রাকায়েত কুটু’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে তার মেসেঞ্জারে কথা বলার সময় বিভিন্ন অশ্লীল, অনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুভূতি পরিপন্থী বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ প্রস্তাব দেন। ওই সব আলাপ বন্ধ করতে বলার পরও তিনি জঘন্য রকম যৌন উত্তেজক কথা বলে তাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন, উত্ত্যক্ত করেন।’ তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘গাজী রাকায়েত একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তার আইডি থেকে এ ধরনের বক্তব্য আসায় তিনি খুবই মর্মাহত হন। মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট তিনি একটি ক্লোজ গ্রুপে পোস্ট দেন। এরপর ৬ই মার্চ গাজী রাকায়েত তার ফেসবুক পোস্টে নিজের দুটি ফেসবুক আইডি থাকার কথা স্বীকার করেন, যা হ্যাক হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তার ওই পোস্টের নিচে হ্যাক হওয়ার তারিখ জানতে চাইলেও তিনি কিছুই জানাননি। ৯ই মার্চ ওই নারীর এক বন্ধু মেসেঞ্জারের ওই স্ক্রিনশট দিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। তখন তিনি (গাজী রাকায়েত) পুনরায় বিষয়টি তার ছাত্রদের ওপরে চাপিয়ে দেন।’ এজাহারে মামলার বাদী আরো উল্লেখ করেন, ‘এ বিষয়ে গত ১০ই মার্চ তার ওই বন্ধুকে ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিভিশন প্রযোজক সমিতি এবং শিল্পী সমিতির নিকেতন অফিসে ডেকে নিয়ে জানানো হয় ওই তিন সংগঠনই বিষয়টি তদন্ত করবে। তদন্ত চলাকালীন তার বন্ধুর ফেসবুক আইডির ওই স্ক্রিনশটের পোস্টটি হাইড করে রাখতে বলেন তারা। এরপর পোস্টটি হাইড (অনলি মি) করে রাখা হয়।’
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী আরো অভিযোগ করেন, গত ১৬ই মার্চ তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে ও তার শুভানুধ্যায়ীদের অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। মেসেঞ্জারে সেই অশ্লীল, অনৈতিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী, যৌন হয়রানিমূলক প্রস্তাবের পর থেকেই এই নারী সামাজিক ও মানসিকভাবেও অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় তার দাম্পত্য জীবন এখন সংকটজনক অবস্থায় আছে। তাই তিনি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী গাজী রাকায়েত, যার একটি ফেসবুক আইডির নাম ‘গাজী রাকায়েত কুটু’, যে অপরাধ করেছে, তা তদন্ত করে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
মামলা প্রসঙ্গে গাজী রাকায়েত মানবজমিনকে বলেন, আমি প্রথম থেকে বলে আসছি কয়েকজন কাছের মানুষের কাছে আমার ফেসবুক পাসওয়ার্ড রয়েছে। তাদের কেউ হয়তো এই কাজটি করেছে। এটি নিশ্চত হওয়ার জন্য আমি সময় নিয়েছি। কিন্তু তারা আমার বক্তব্যকে ভুল ভাবে প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন সাইটে। আমি নাকি বলেছি কাজের ছেলের কাছে আমার পাসওয়ার্ড আছে। কোনো সুস্থ মানুষ এটি বলতে পারে? আমার আইডি হ্যাক হয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পর গেল ১২ তারিখে আমি একটি জিডি করেছি। এরপরেও আমাকে নিয়ে তারা বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করছে। ফলে আমি বাধ্য হয়ে ১৫ই মার্চ রাত সাড়ে বারোটায় মামলা করেছি। তারা আমাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সমাধান করবো ।